ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫

এবার দীঘিপাড়া খনি থেকে কয়লা তোলার পরিকল্পনা (ভিডিও)

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১২:০৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বড়পুকুরিয়ার পর এবার দীঘিপাড়া খনি থেকেও ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। উদ্যোগটি সফল হলে কয়লা আমদানির ওপর চাপ কমবে। সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা, বাড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে অন্য খনিগুলোও উন্নয়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দেশে আবিষ্কৃত পাঁচ খনিতে কয়লার সম্ভাব্য মজুদ প্রায় ৭৯৬ কোটি টন। যার অর্ধেকেরও বেশি ৫৪৫ কোটি টন আছে জামালগঞ্জ খনিতে। এছাড়া অন্য চার খনিতে আছে ২৫১ কোটি টন কয়লা। তবে গভীরতা বেশি থাকায় জামালগঞ্জ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন লাভজনক না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

এদিকে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া খনির মধ্যে শুধুমাত্র বড়পুকুরিয়া থেকে তোলা হচ্ছে কয়লা। উত্তোলন করা হচ্ছে সুরঙ্গ বা ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে। একইভাবে ৮৬ কোটি টন মজুদের দীঘিপাড়া খনি থেকেও কয়লা তুলতে চাচ্ছে সরকার। এটির উন্নয়ন ও দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ।  

ইতিমধ্যেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ বেশ খানিকটা এগিয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত জরিপ করে প্রতিবেদন দিয়েছে বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান। বলা হয়েছে, দীঘিপাড়া থেকে প্রতিটন কয়লা উত্তোলনে ব্যয় হবে ১৬০ ডলার। এই ব্যয় বেশি মনে হওয়ায় প্রতিবেদনটি অধিকতর পর্যালোচনায় আরেকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটির প্রতিবেদন দিলেই পরবর্তী করণীয় ঠিক হবে। 

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, “সেই রিপোর্টটিকে রিভিউ করার জন্য সেলের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কিছু অবজারবেশন ছিল, সে অনুযায়ী তাদেরকে জানানো হয়েছে। ফাইনাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দীঘিপাড়া ব্যাপারে কিভাবে এগুবো।”

দেরিতে হলেও দীঘিপাড়া খনির উন্নয়নের উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, “যতোগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে বা হবে সেগুলোর আমদানিকৃত কয়লা দিয়েই তৈরি করারই পরিকল্পনা রয়েছে। সুতরাং আমাদের দেশে যে কয়লা খনিগুলো আছে সেগুলোর উন্নয়ন করাটা খুবই জরুরি।”

দেশে বড় বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। যার বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলে। কিন্তু কয়লা খনিগুলোর অবস্থান উত্তরাঞ্চলে। তাই এসব খনি থেকে কয়লা তুলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, “উপকূল বরাবর যে কয়লা কেন্দ্রগুলো স্থাপন করলাম, তার আগে যদি এই নীতিটা গ্রহণ করতাম দেশের যেসব কয়লা খনি আছে মজুদ আছে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবো। তাহলে কিন্তু দৃশ্যটা অন্যরকম হতো।”

বড়পুকুরিয়ার মতো খনিমুখেই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারলে পরিবহন ব্যয় বহুলাংশেই কমে যেতো, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি