ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় সাতশ কোটি মার্কিন ডলার

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ৮ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩৫, ৮ অক্টোবর ২০১৬

গেল অর্থবছরেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় সাতশ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঘাটতি কমিয়ে আনতে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানির পরিধি বাড়ানো গেলে কমে আসবে এই বাণিজ্য ঘাটতি। তিন দশমিক দুই তিন ট্রিলিয়ান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিশ্বে বিনিয়োগকারীদের তালিকায় শীর্ষে থাকা চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ গেল অর্থবছরে ছিল আট দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এর মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ৫০০ মিলিয়ন ডলারও নয়। বাণিজ্য ঘাটতির পরিমান দিন দিন বাড়ছেই। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৬৮০ কোটি ডলার এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাণিজ্য প্রশ্নে এই দূরত্ব কমানোর জন্য ঢাকা-বেইজিং উভয় পক্ষের অর্থনীতিবিদরাই মনে করেন বাড়াতে হবে চীনা বিনিয়োগ। বাংলাদেশ চীন থেকে যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, টেক্সটাইল পণ্য, সয়াবিন তেল, পামওয়েল, টায়ার, সার, গম ও লৌহ এবং ইস্পাত আমদানি করে অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে চীন আমদানি করে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চা, চামড়া এবং মাছ। আরো গতিশীল বাণিজ্যের জন্য শুল্কমুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার এর পাশাপাশি রফতানি বাস্কেট বাড়ানোর কথা বলছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। কোনো কূটনৈতিক বেড়াজালেই বাণিজ্যে পিছিয়ে থাকার রীতি নেই বলেও জানান চীনে বাংলাদেশের এই সাবেক রাষ্ট্রদূত। ২০২১ সালের মাঝেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে শিল্প-বাণিজ্যের রেনেসার জন্য চীনা বিনিয়োগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি