ঢাকা, রবিবার   ২২ জুন ২০২৫

হুজুরদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও বিকৃত ওয়াজ: উদ্দেশ্য কী?

তানভীরুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মুসলমানদের আবেগ অনুভূতির একটা জায়গা হলো ইসলাম ও ধর্মীয় নানা ওয়াজ। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন এই ওয়াজ নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের ট্রল ভিডিও। কিছু আলেম নামধারী ব্যক্তিদের জন্য সামগ্রিকভাবে ইসলাম ও আলেম উলামাদের সম্মান ও মর্যাদাহানি হচ্ছে। এমনকি তাদের হাস্যকর ওয়াজের কারণে ইসলামের সৌন্দর্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এর কারণ হিসাবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিলের মৌলিক চরিত্র ও চিন্তায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বক্তারা এখন প্রাসঙ্গিক কথা বলার চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক নানা বিষয়েই বেশি আলোচনা করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, তাদের মধ্যে একে অপরের কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও গালিগালাজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বেশ কয়টি ওয়াজে দেখা গেছে, একজন বক্তা ২ ঘণ্টা ওয়াজ করলে এর মধ্যে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটই হয় পারস্পরিক বিদেষাগার, অশ্লীল শারীরিক অঙ্গভঙ্গি আর বিকৃত ওয়াজ। বিভিন্ন ওয়াজে দেখে যায়, একশ্রেণির বক্তার বয়ানের প্রধান অংশ হয়ে ওঠেছে কবি, সাহিত্যিক, চিত্রনায়ক, গায়কদের নিয়ে বিষোদ্গার। এমনকি ছেড়ে কথা বলেন না স্ব-গোত্রীয় আলেমদেরও। কাফির, মুশরিক, মুনাফিকসহ যতধরনের ইসলামি গালি আছে, সবই তারা প্রয়োগ করে। এছাড়াও ওয়াজ মাহফিলে এমন কিছু বক্তা আছে, যাদের সুরের তালে তার সামনে বসা সমর্থকরা উঠে নাচানাচি শুরু, এমনকি মাইক থেকে শুরু করে সামনে যা কিছু পায়, তাই ছুঁড়ে মারে।

ইসলামী এসব বক্তাদের বক্তব্যকে পুঁজি করে একটা শ্রেণি মেতে উঠেছে ইউটিউব ব্যবসায়। একদল তরুণ এইসব বক্তাদের হাস্যরস ভিডিওগুলো থেকে চুম্বকাংশ নিয়ে ট্রল ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া কিছু বক্তা ও তার ওয়াজ:

সম্প্রতি ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত নাম মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী। তার ভাইরাল হওয়া ‘বসেন বসেন বইসা যান’ ও ‘ঢেলে দেই’ দুটি উক্তির মাধ্যমে তিনি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছেন। বাংলাদেশের সার্চ ট্রেন্ড বলছে, চলতি মাসের (আগস্ট) ১৮ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত গুগলে ‘ঢেলে দেই’ শব্দ দুটি সার্চ করেছেন প্রায় শতভাগ বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

তার বেশ কয়েকটি ওয়াজে দেখা গেছে, হাতে একটি চায়ের কাপ নিয়ে তাতে চুমুক দেন। এরপর বলেন, ‘কেউ কথা কইয়েন না, একটু চা খাব? খাই একটু? আপনারা খাবেন? ঢেলে দেই? (মুচকি হেসে আবারও) ঢেলে দেই? ... ‘ভাই পরিবেশটা সুন্দর না? কোনো হইচই আছে? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি? কারোর বিরুদ্ধে বলতেছি? এরপরও সকালে একদল লোক বলবে, তাহেরী বালা (ভালো) না।’

বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন তিনি। সেই সঙ্গে নাচ-গানসহ আরও বিনোদনমূলক কথাবার্তা। এছাড়াও এক মাহফিলে অজ্ঞাত ব্যক্তির উক্তি দিয়ে বিড়ি খাওয়ার একটি দোয়া শ্রোতাদের শোনান তাহেরি। যা ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে। ওয়াজের সময় এভাবে বিনোদন দিয়ে বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে তাহেরী। এরপর থেকে দেশের কয়েকটি জেলায় তার ওয়াজ মনিটরিং করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এর কিছুদিন পূর্বেই ফেসবুক ও ইউটিউবে এক মুফতির বিরক্তিকর ওয়াজ ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে এই মাওলানা সারাক্ষণ অপ্রাসঙ্গিক কথায় কান্না করে ওয়াজ করছেন। কান্নাস্বরে তিনি কোথায় কোনদিন ওয়াজ তারও বর্ণনা করেন। এছাড়া তিনি ভারতে ওয়াজ করতে গিয়েছেন দাবি করে কান্না করতে থাকেন।

এ নিয়ে ফেসবুকে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। ওয়াজ মাহফিলে এরকম নিজের ব্যক্তিগত হাজারো কথা বলে, ওয়াজের সুরে কান্না করতে থাকেন এই হুজুর। আমার ওয়াজ করতে রাজশাহী যাওয়ার কথা ছিল....বগুড়া যাওয়ার কথা ছিল........সুর করে টেনে টেনে নানাবিধ ভঙ্গিতে এসব বলতে থাকেন ওই হুজুর।

একশ্রেণির বক্তার বয়ানের প্রধান অংশ হয়ে ওঠে কবি, সাহিত্যিক, চিত্রনায়ক, গায়কদের নিয়ে বিষোদ্গার। এই বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী। মিরপুর মুক্তবাংলা মার্কেট মসজিদের খতিব তিনি। তার প্রতিটি ওয়াজে থাকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুৎসা। তার বয়ানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাশুড়ি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও ইউটিউব লিংকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে দেওয়া ওই একই বক্তব্যে মাওলানা জিহাদী বলেন, ‘শিক্ষিত হতে হতে কবি শামসুর রাহমানের মাথার চান্দিতে চুল আছিলো না।’

বক্তাদের মধ্যে কয়েকজন গানের শিল্পীদের গান গেয়ে সেই শিল্পীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। যেমন, মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী প্রয়াত রকসংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু, লোকগানের শিল্পী মমতাজ, নগরবাউল জেমসসহ অনেকের গান গেয়ে শোনান। শ্রোতারাও হাসাহাসি করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আরেক বক্তার নাম মাওলানা আবদুল খালেক শরীয়তপুরী। তিনি ভাষা-শব্দে-অঙ্গভঙ্গিতে দর্শক হাসানোর জন্য অনেক পরিচিত। তিনি সাধারণ শিল্পীদের নিয়ে সুর তুলে বিষোদ্গার করেন নিয়মিত। তার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মঞ্চে বসে চেয়ারে পা তুলে বলেন, ‘খেলা দেহামু আজকা।’

কিশোরগঞ্জে এক মাহফিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রয়াত আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শরীয়তপুরী বলেন, ‘আম্মাজান, আম্মাজান, শিল্পীর নাম বুদবুদ করতেছে আপনাদের মনে। ওইদিন মারা গেলো আইয়ুব বাচ্চু, ওইদিন মারা গেলো আল্লামা হাবিবুর রহমান। এই পর্যন্ত হাবিবুর রহমানকে সংবর্ধনা দিলো না। আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছে, একশ্রেণির ভদ্রলোক, শিক্ষিত শয়তান, (আরও জোরে শ্রোতাদের বলতে বলেন) শিক্ষিত শয়তান। আইয়ুব বাচ্চুর এলাকায় মুসলিম হল, নাম পরিবর্তন করতে চায় তার নামে। মুসলিম নাম পরিবর্তন করলে হাতের কব্জি কেটে দিতে রাজি আছে মানুষ।’

সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম যা বলে:

এসব বিষয় নিয়ে একুশে টিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসি আলিমুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাইবার অপরাধের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। একজন হুজুর ওয়াজ মাহফিলে আবল-তাবোল বক্তব্য দিচ্ছে, কান্না করে বুক ভাসাচ্ছে, এইসব বিষয়ে তো আইন প্রয়োগ করার কিছু নাই। এখানে পুলিশ কিছু করতে গেলে তো নতুন করে আরও ঝামেলা তৈরি হবে। সুতরাং এ বিষয়ে আলেম-উলামা ও সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে।
 
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে এক ধরণের মেসেজ দিতে চাচ্ছি যে, এটা এক ধরনের অপরাধ। এ রকম সামাজিক অপরাধ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ আসছে, আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে যতটুকু ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব, আমরা সে ব্যবস্থা নিব।

তিনি আরও বলেন, সাইবার অপরাধের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। এগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে নতুন নতুন অপরাধ মোকাবেলা করা যাবে।

বিরক্তিকর ভাইরাল ওয়াজ নিয়ে ইসলাম যা বলে:

শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ একুশে টিভি অনলাইকে বলেন, ওয়াজ শব্দের অর্থ হলো উপদেশ। ওয়াজ শুনলে মানুষের ভিতরে আল্লাহর মহব্বত ও রাসূলের মহব্বত পয়দা হয়। আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্য, ঈমান বিশ্বাস ও আখেরাতের চিন্তা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত মানুষ বানানোর জন্য হলো ওয়াজ। এই ওয়াজ কখনও বিনোদনের কারণ হতে পারে না। কেউ যদি এটাকে হাস্যরস ও বিনোদনের মাধ্যম বানায়, তাহলে ওয়াজের মূল লক্ষ্যই বিচ্যুত হয়ে যায়।

এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের উচিত হবে, যারা এই ধরনের ওয়াজকে বিনোদনের হাতিয়ার বা ইনকামের পথ বানায় তাদেরকে বয়কট করা। আর আলেম উলামাদের করণীয় হলো, এইসব বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা। ইসলামে কখনই এটা পছন্দনীয় নয়।

আপত্তিকর ভিডিও তৈরি ও তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে মাওলানা মাসউদ বলেন, যারা এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে অবশ্যই এটা নিন্দনীয়। তারা যা করছে তা ইসলামে চরম গর্হিত অপরাধ। এমন কেউ যদি মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, উগ্রবাদ সৃষ্টি করে তাহলে সেটা বন্ধ করা উচিত। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিতর্কিত ১৫ বক্তাকে চিহ্নিতকরণ:

ওয়াজের বক্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ বক্তাকে চিহ্নিত করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ধরনের বক্তব্য প্রতিরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ছয়টি সুপারিশও করে তারা।

বিতর্কিত বক্তারা হলেন- আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান (মুহতামিম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুর), আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদরাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৬ সুপারিশ:

১. ওয়াজি হুজুররা যেন বাস্তবধর্মী ও ইসলামের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।

২. যারা ওয়াজের নামে হাস্যকর ও বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করার চেষ্টা চালান, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রো-অ্যাকটিভ উদ্বুদ্ধকরণ।

৩. অনেক আলেমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রির মতো উচ্চশিক্ষা ব্যতীত যারা ওয়াজ করেন, তারাই জঙ্গিবাদ ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাই মাদরাসায় উচ্চশিক্ষিত ওয়াজকারীদের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা।

৪. অনেকেই আছেন, যারা হেলিকপ্টারযোগে ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেন এবং ঘণ্টা চুক্তিতে বক্তব্য দিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করেন। তারা নিয়মিত ও সঠিকভাবে আয়কর প্রদান করেন কি-না, তা নজরদারির জন্য আয়কর বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করা।

৫. ওয়াজি হুজুরদের বক্তব্য স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক সংরক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া এবং উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বক্তব্য দিলে তাদের সতর্ক করা। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে তাদের ওয়াজ করার অনুমতি না দেয়া।

৬. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি