ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সেতু চালু হলেও পদ্মায় লঞ্চ-ফেরি চলবে? (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪১, ৩০ মে ২০২২ | আপডেট: ১১:৫১, ৩০ মে ২০২২

পদ্মাসেতু চালু হলে নদীতে স্পিডবোট, লঞ্চ কিংবা ফেরির মতো নৌ-যান চলবে কি? বিদ্যমান ঘাটগুলো থাকবে তো? এসব বিশ্লেষণ জনে জনে।

পানি আর নদীর সাথে আবহমান কাল থেকেই আত্মিক সম্পর্ক এদেশের মানুষের। চলাচল কিংবা আর্থিক সাশ্রয়ে নৌ-পথের উপর ভরসা সবসময়ই ছিল। 

দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সময়-অর্থের সাশ্রয় কিংবা পারাপারের ভোগান্তি মুক্ত হতে খরস্রোতা প্রমত্তা পদ্মায় সেতুর দাবি ছিল যুগে যুগে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনে স্বপ্নপূরণ, চলাচলে প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি। 

এখনকার সাময়িক সংকট হলো নদীতে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮৭টি লঞ্চ, দেড় শতাধিক স্পিডবোট আর ছয়-সাতটি ফেরির কি হবে?

নদী পারাপারের ব্যবসায় জড়িত পেশাজীবীদের রুটি-রুজির সংস্থানের দুশ্চিন্তাও বেড়েছে।

তারা জানান, “গরীব মানুষ, একভাবে তো চলতে হবে। এই কাজ ছাড়া তো অন্য কাজ করতে পারি না। কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা করে দিলে উপকার হত।”

আর ঘাটগুলোরই বা পরিণতি কি হবে? এসব বিশ্লেষণ জনে জনে। 

লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্য জানান, “মাওয়া ঘাটে যে ৮৭টি লঞ্চ চলে এর সাথে হাজার হাজার পরিবার জড়িত। পদ্মা সেতু চালুর পর দাবি, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যেন করা হয়।”

পদ্মাসেতু চালু হলে এই নদীতে নৌ যানের চলাচল কমবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষের যদি চাহিদা থাকে তাহলে পদ্মা সেতুর এলাইনমেন্টের বাইরে নৌযান চলাচলে কোন বাধা নেই, এমনটা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যার অর্থ দাঁড়ায় সেতুর এলাইনমেন্টের বাইরে যে কোন ঘাট দিয়ে স্পিডবোর্ড, লঞ্চ, ফেরি চলাচলে তেমন কোন বাধা থাকছে না।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়া মানেই যে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। নৌ পথের প্রয়োজনীয়তা আছে। ইমোশনের কারণে একটা ধাক্কা আসবে কিন্তু এখানে ফেরির প্রয়োজনীয়তা আছে বা অন্যান্য নৌযানের প্রয়োজন আছে।”

সেতুর সাথে অবস্থান বিবেচনায় মাওয়ার শিমুলিয়া ও জাজিরার মাঝিকান্দি ঘাটে আপাতত ফেরি সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। 

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “মাঝিকান্দি এবং শিমুলিয়া থেকে পদ্মা সেতু ক্রস করতে হবে না। ফেরি চলাচলটা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিবন্ধিত যেসব স্পিডবোর্ড ও লঞ্চ আছে সেগুলোও চলাচল করবে।”

তবে, সরকারি কোনো সংস্থা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। যতোদিন মানুষের চাহিদা থাকবে, ঘাট চালু থাকবে। আর, নাব্যতা ঠিক রাখা ও রুট ঠিক রাখতে নদীর ড্রেজিং বরাবরের মতো চালু রাখার পরিকল্পনা সরকারের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি