ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

সঙ্গীহীন মোমিনুলের আক্ষেপ, অলআউট বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৮, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে হারিয়ে প্রথম সেশনটা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় সেশনে ৩টি এবং তৃতীয় সেশনের শুরুতেই আরও ৫টি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অর্থাৎ সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তুলেতে পেরেছে বাংলাদেশ।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৭৩.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা জমা করেছে ২২৭ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচেই শতরান পেরোনো উদ্বোধনী জুটি গড়া জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝে অবশ্য তারা দিয়েছিলেন কয়েকটি সুযোগ। জাকিরের ক্যাচও ছাড়েন মোহাম্মদ সিরাজ। তবে এরপরও ঠিক ছিল রানের গতি।

কিন্তু হঠাৎই হয় ছন্দপতন। জয়দেব উনাদকাটের বলে কাট করতে গিয়ে চতুর্থ স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জাকির। ১ চারে ৩৪ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।  

তিন বল পরই আউট হয়ে যান শান্ত। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে প্যাড আপ করেন তিনি। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন। পরে আম্পায়ারস কলে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় ৫৭ বলে ২৪ রান করা শান্তকে।  

দুজনের বিদায়ের পর চারে অনেকটা চমক হিসেবে আসেন সাকিব আল হাসান। কাজ অবশ্য হয়নি তাতে। ১ চার ও ছক্কায় উমেশ যাদবের বলে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে চেতেশ্বর পূজারার হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ৩৯ বলে তিনি করেন ১৬ রান। 

মুশফিকুর রহিমও আরও একবার ব্যর্থ বড় রান করতে। এই ব্যাটার ৪৬ বল খেলে ২৬ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ঋষভ পন্থের হাতে। তারপর ক্রিজে এসে দারুণ করছিলেন লিটন দাস। যথারীতি খেলছিলেন মুগ্ধ হওয়ার মতো শট। কিন্তু হঠাৎই অশ্বিনের বলে মিডউইকেটে সহজ এক ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ২৫ রান করেন লিটন। 

এরপর মোমিনুল হকের সঙ্গী হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মোমিনুলকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তিনিও। তিন চারে ১৫ করে ফেরেন মিরাজ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সোহানও, ফেরেন মাত্র ৬ রানে। দুজনেই শিকার হন উমেশ যাদবের।

তবে এতো ব্যর্থতার মাঝেও ব্যাটে সৌরভ ছড়াচ্ছেন একজন। নেতৃত্বের পর দলে জায়গাও হারিয়েছিলেন মোমিনুল, ফিরেই হাঁকিয়েছেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। অপরাজিত আছেন ৮৪ রান নিয়ে। তবে সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন না কাউকেও।

কেননা, এদিন পাঁচ পাঁচটি চল্লিশ পেরুনো (একটি ৩৯ রানের) জুটি হলেও পঞ্চাশ ছাড়ায়নি একটিও। যার ফলে মিরপুর টেস্টে বড় জুটির অভাবেই ভুগতে হচ্ছে সাকিবদের। নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট পতনের ফলে শেষ পর্যন্ত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন দীর্ঘদিন পর শতকের পথে থাকা মোমিনুলও। 

আউট হয়ে যান সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতেই। তার ১৫৭ বলের এই ইনিংসে ছিল ১২টি দৃষ্টি নন্দন চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার। 

মূলত মোমিনুলের আউটের মধ্যদিয়েই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। শুরুতে আশা দেখানো ইনিংসটি থেমে যায় ২২৭ রানেই। 

ভারতের হয়ে সমান ৪টি করে উইকেট নিয়ে টাইগার ইনিংসে ধস নামান পেসার উমেশ যাদব ও স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাকি দুটি উইকেট নেন ১২ বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জয়দেব উনাদকাট।

এনএস/এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি