ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

হ্যাটট্রিকে হাসনাইনের বিশ্ব রেকর্ড 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩১, ৫ অক্টোবর ২০১৯

দীর্ঘ ১০ বছর পর নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এবার শুরু টি-২০ লড়াই। শনিবার লাহোরে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের স্পিড স্টার মোহাম্মদ হাসনাইন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড খাতায় নাম লিখালেন তিনি।

নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে ভানুকা রাজাপাকশেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্রথম উইকেট তুলে নেন তরুণ হাসনাইন। পরে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলে পর পর দাসুন শানাকা ও সেহান জয়সুরিয়ার উইকেট তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়সী বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন ১৯ বছর বয়সী পাক পেসার। মহিলা এবং পুরুষ দুই ফরম্যাট মিলিয়েও হ্যাটট্রিক করা সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হাসনাইন।

এদিকে হাসনাইনের রেকর্ড করা হ্যাটট্রিক স্বত্বেও সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দানুশকা গুনাথিলাকার ঝড়ো ৫৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।

এর আগে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
 
ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে আভিসকা ফার্নান্দোকে সঙ্গে নিয়ে পাক বোলারদের তুলোধুনো করে ৯.৪ ওভারে ৮৪ রানের জুটি গড়েন দানুশকা গুনাথিলাকা। আভিস্কা উইকেটের এক পাশ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গুনাথিলাকা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৭তম ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি ওপেনার। 

শাদাব খানের লেগ স্পিনে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন গুনাথিলাকা। ৩৪ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন আভিস্কা। এছাড়া ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা ভানুকা রাজাপকাশের ২২ বলে ৩২ ও দাসুন শানাকার ১০ বলে ১৭ রানের স্বভাবসুলভ ইনিংসের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।

পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ হাসনাইন ৩টি ও শাদাব খান একটি উইকেট শিকার করেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্যর্থ হন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আহমেদ শেহজাদ ও উমর আকমল। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজম  ব্যক্তিগত ১৩ রান করে আউট হলেও দায়িত্ব নিতে পারেননি ওই দু'জন। সাজঘরে ফেরেন যথাক্রমে ৪ ও শুন্য (০) রানে। ফলে দলীয় ২২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে স্বাগতিকরা। 

তবে ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে অধিনায়ক সরফরাজের ৪৬ রানের জুটিতে ওই বিপর্জয় সামাল দেয় পাকিস্তান। এসময় একটি কুইক রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন ২৪ বলে ২৫ করা ইফতেখার। জয়ের জন্য তখন পাকিস্তানের দরকার ছিল ৫১ বলে ৯৮ রান। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি