ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

‘অধ্যাপকরা মরে না, তারা বেঁচে থাকেন শিক্ষার্থীদের মাঝে’

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৭, ১২ জানুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ২৩ শিক্ষককে প্রথমবারের মতো সম্মাননা এবং সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ সময় বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে, ‘অধ্যাপকরা কখনো মরে না। তাঁরা বেঁচে থাকেন শিক্ষার্থীদের মাঝে।’

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত গাওয়া, কবিতা আবৃত্তি এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্যদিয়ে শুরু হয়। 

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি কখনো মনে করিনি আমি শিক্ষার্থীদের স্যার। নিজেকে বাগানের মালি মনে করতাম। আর শিক্ষার্থীরা সেই বাগানের ফুল। চেষ্টা করেছি, আমার পরিচর্চায় তারা যেন সুন্দরভাবে ফুটতে পারে, বড় হতে পারে। ছাত্ররা যখন আমাদের চেয়ে বড় পদে যায়, বড় দায়িত্বপালন করে তখন তাদের মা-বাবার মতো আমিও আনন্দ পাই।’

দর্শক সারিতে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারাই আমাদের সেই আনন্দ দেন, যখন ভালো কিছু শুনি।

অনুষ্ঠানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস বলেন, আমি যা তার জন্য ঘৃণীত হই ক্ষতি নেই। কিন্তু আমি যা নই তার জন্য শ্রদ্ধার হই, এটা আমি কখনো চাই না। আমাদের সবার ভালো এবং মন্দ উভয় অবদানে শাবি আজকে এই পর্যায়ে। 

শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্যার আমাকে জানিয়েছেন উনি জীবনে যত কাজ করেছেন তা মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ শাবি গড়ার সময়ে।’

সম্মাননা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনাদের দেখানো পথেই আমরা আগানোর চেষ্টা করছি। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই, এজন্য আমাদের অবকাঠামোর প্রয়োজন ছিলো। আমরা সেটার জন্য কাজ করছি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, আজকে যাদের অবদানে শাবি এখানে, তাঁদের অনেকেই আজকে মঞ্চে উপস্থিত।

সম্মাননা এবং সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. মিরাজ উদ্দিন মণ্ডল, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমাদ উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক নাজমুল আসহাব, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস, অধ্যাপক ড. এম হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আতী উল্লাহ, অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস। 

এছাড়া যারা বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তাঁরা হলেন, শাবির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ড. বজলুল মুবিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ দেব রায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমএ রকীব, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মিয়া এবং অধ্যাপক ড. মাকসুদুল বারী।

অনুষ্ঠানের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, সোনালি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার জামান উল্লাহ এবং নোবিপ্রবি’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি