ইটিভি’তে রিফাত স্মরণে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ২০:৩০, ৯ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ২২:১৭, ৯ আগস্ট ২০২১

একুশে টেলিভিশনের ফ্রন্টডেস্ক এক্সিকিউটিভ রিফাত রাজ্জাকের অকাল মৃত্যুতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) বাদ আসর একুশে টেলিভিশনের সব বিভাগের সহকর্মীদের উপস্থিতিতে এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন একুশে টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) নাসিম হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হেড অফ নিউজ রাশেদ চৌধুরী, হেড অফ প্রোগ্রাম পঙ্কজ বণিক, হেড অফ মার্কেটিং আলমগীর কবির, হেড অফ ব্রডকাস্ট সুজন দেবনাথসহ সিনিয়র সাংবাদিক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় মেজর জেনারেল নাসিম হোসেন বলেন, রিফাত রাজ্জাক অত্যন্ত হাসি খুশি একজন মানুষ ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি একুশে টেলিভিশনে যোগদান করেন। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্যও ছিল বেশি। যার সঙ্গে তার দেখা হতো তাকে সুন্দর সম্ভাষণ করতেন, তার মুখে সব সময় মিষ্টি হাসি লেগে থাকতো। তিনি খুব ভাল মানের একজন সহকর্মী ছিলেন। তিনি মাতৃত্বের স্বাধ পেতে চেয়েছিলেন কিন্তু বিধাতা তাকে নিয়ে গেছেন। আমরা রিফাতসহ আরও যারা মৃত্যু বরণ করেছে তাদের সবার রুহের শান্তি কামনা করি।
এরআগে গত শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪ টায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। প্রসবকালীন জটিলতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মৃতের স্বামী শাহ মো. আনোয়ারুল আমিন সেতু বলেন, আমার স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্তান প্রসবজনিত সমস্যায় গত ২২ জুলাই রাত সাড়ে ৩টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন থেকেই তার চিকিৎসা চলছিল।
জানা যায়, রিফাত রাজ্জাকের পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রিফাত রাজ্জাক ছিলেন সবার বড়। রিফাত রাজ্জাকের বিয়ে হয় ৩ বছর আগে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের গ্রামের বাড়ী পিরোজপুরের স্বরূপ কাঠিতে। বিয়ের পর স্বামী শাহ মো. আনোয়ারুল আমিন সেতু ‘র সঙ্গে রাজধানীর মিরপুর ১৪ তে বসবাস করতেন তিনি। তার স্বামীও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের কোন সন্তান ছিল না। বিয়ের ৩ বছর পর এটাই ছিল তাদের প্রথম সন্তান। মায়ের গর্ভে সন্তানের বয়স ৬ মাস হয়েছিল। প্রসবজনিত সমস্যায় মা ও সন্তান দু’জনই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
এসি