ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ইটিভির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এস মাহমুদের প্রয়াণ দিবস (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী

প্রকাশিত : ১০:৪৮, ২২ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১০:৫২, ২২ জানুয়ারি ২০২২

একুশে টেলিভিশন ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এস মাহমুদের ১৮তম প্রয়াণ দিবস শনিবার। দেশপ্রেমী, স্বপ্নবান ও মুক্তমনা মানুষটি ১৯৩৩ সালের ১০ জুলাই সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। আর ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে মারা যান বাংলাদেশের আধুনিক গণমাধ্যমের পথিকৃৎ এস মাহমুদ। 

দেশের প্রতি তাঁর ছিল গভীর মমত্ববোধ। বিশ্বাস করতেন, সোনার বাংলাদেশ গড়তে উন্মুক্ত করতে হবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ। মাধ্যম হোক সেটা পত্রিকার কিংবা সম্প্রচার। অন্তর থেকে বাংলাদেশকে লালন করতেন বলেই থেমে থাকেননি। 

২০০০ সালে দেশের প্রথম বে-সরকারি টেরিস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল “একুশে টেলিভিশন” চালু করেন। নিরন্তর ছুটে চলা এবং স্বপ্ন, বিশ্বাস ও কাজের সুদৃঢ় সমন্বয়ের সফল মানুষ আবু সাইয়িদ মাহমুদ বা এ এস মাহমুদ। 

“পরিবর্তনে অঙ্গীকারাবদ্ধ” স্লোগানকে প্রকৃতপক্ষে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন সংবাদ ও বিনোদনের নতুনত্ব এনে। স্বদেশি অনুভূতির মালা গেঁথে বাংলাদেশের ভেতরটাকে দেখাতে চেয়েছিলেন বিশ্বকে। মানুষের রুচি, অভ্যাস তথা জনজীবনে ছাপ ফেলেছিল একুশে টেলিভিশন।

সকল স্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে একুশের সংবাদ। পচাত্তরের পর উল্টো পথে চলা বাংলাদেশকে একাত্তরের চেতনার সংস্কৃতিতে ফেরাতে বিপ্লবের বীজ এই গণমাধ্যম।

এ এস মাহমুদের সন্তান ফরহাদ মাহমুদ বলেন, ‘যা ছিল সবকিছুই উনি এই টেলিভিশন মাধ্যমকে দিয়েছেন। শুধু পুঁজি না এর মধ্যে ছিল তাঁর সারা জীবনের অভিজ্ঞতা, ওনার শিক্ষা ও জ্ঞান। তখনকার সময় এটি ছিল বিশাল একটি প্রজেক্ট। ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া টেলিভিশন তখনও হয়নি।’

সামাজিক দায়বদ্ধতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন এ এস মাহমুদ। তথ্যবুভুক্ষ মানুষের অন্যতম ভরসাস্থল হয়ে উঠে একুশে টেলিভিশন। এটা পছন্দ করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আইনী অজুহাতে ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট একুশে টেলিভিশনকে বন্ধ করে দেয় তারা। 

ভাড়াক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান এ এস মাহমুদ। প্রতীক্ষা সুদিন ফেরার। কিন্তু তার আগেই ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এই দেশপ্রেমিক।

সত্য উদ্ভাসিত সব সময়ই। একুশ, একাত্তর এই শব্দগুলো যাদের অপছন্দ তারাই একুশে টেলিভিশনের গলাটিপে ধরার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। 

ফরহাদ মাহমুদ বলেন, পেছনেরটা তো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ওখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি জানতে পারি। সামনের দিকে যেতে হলে যেহেতু প্রযুক্তিতে পরিবর্তন এসেছে, অনেক কিছু পাল্টে গেছে তাই প্রতিনিয়ত নবায়ন করতে হবে। একুশে টিভিরও সামনের দিকে তাকাতে হবে।’

এ এস মাহমুদের একুশে টেলিভিশন আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। না থেকেও তিনি আজও আছেন।  

একুশে টেলিভিশনের উৎসবীজ স্বপ্নবান এই মানুষটিকে বিনম্র শ্রদ্ধা। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি