কমন প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেবে ইসি
প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ২৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৮, ২৯ আগস্ট ২০১৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা একই ধরনের (কমন) প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, সংলাপে অনেক প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এরমধ্যে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, পেশীশক্তি ও কালোটাকা বন্ধসহ কিছু কিছু কমন প্রস্তাব আসছে। যে প্রস্তাবগুলো খুব বেশি কমন থাকবে, সেগুলো ইসি বিবেচনা করতে পারে।
সোমবার দু’টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই তথ্য জানান।
আজ সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বিকালে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সংলাপ করে। সংলাপে দু’টি দলই ম্যাজিস্ট্রেজি ক্ষমতাসহ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, জাতীয় সংলাপ আয়োজন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক মামলা প্রত্যহার, নির্বাচন পেশীশক্তি ও কলোটাকার প্রভাব মুক্তরাখা, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী, ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিধান শিথিলসহ কিছু অভিন্ন প্রস্তাব দেন।
সংলাপে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে ১১ দফা ও খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ৩৩ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
দল দু’টির প্রস্তাবনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য যা করণীয়, তা করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দলই লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে। তবে প্রস্তাবগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসি সম্মত হয়নি। কমিশন মনে করে, কোনটি রাজনৈতিক আর কোনটি ফৌজদারি, সেটা স্পষ্ট নয়। এগুলো স্পষ্ট হতে হবে। রাস্তাঘাটে গাড়ি পোড়ানোর মামলা, বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মামলা—এগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করতে পারে না। যেগুলো ক্রিমিনাল মামলা, সেগুলোর ব্যাপারে কমিশন সুপারিশ করতে পারে না। কমিশন মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। শুধু এটাই বলেছে, যেগুলো সহিংস ফৌজদারি মামলা, সেগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসি কোনও সুপারিশ করবে না। তবে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা ইসি করবে। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
জাতীয় সংলাপের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এখানে কমিশনের খুব একটা ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।
৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের বিষয়ে হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, নারী নেতৃত্বের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম। ৭টি বাদে বাকি দলগুলো এ বিষয়ে জবাব দিয়েছে। দলগুলো আমাদের আশ্বস্ত করেছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশের এই শর্ত তারা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন