ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

কোটা সংস্কার : কালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে রোববার থেকে আন্দোলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০, ৯ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৭:২৮, ৯ মে ২০১৮

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি : একুশে টিভি অনলাইন

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি : একুশে টিভি অনলাইন

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের প্রজ্ঞাপন আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জারি না হলে আগামী রোববার থেকে ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ওই কর্মসূচি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।


আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  রাজু ভাস্কারের সামনে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশে বাধা কোথায় আমার জানা নেই।


পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে আবারও রাজপথে নামবে শিক্ষার্থীরা। আর দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে শিক্ষার্থীরা।


এর আগে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তার এ বক্তব্যের পর গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে করে প্রজ্ঞাপন দাবিতে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল থেকে চারদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পর দিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি- আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।


এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল রাতে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক বক্তব্য কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার দাবি জানান।
পরে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় মাস পেরোলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

এ সংক্রান্ত আরও খবর

কোটা সংস্কার:প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি