ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ জুন ২০২৪

‘জিএসপি প্লাস’ নির্ভর করছে ইইউর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৮:৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ে ইইউ’র প্রশ্ন রয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এ সংক্রান্ত উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে  বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাজার সুবিধা পাচ্ছে।

২০২৬ সালে চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী ৩ বছরের ‘ট্রানজিশন টাইম’ পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ সালের পরও যাতে বাংলাদেশের পণ্য ইইউতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায়, সেজন্য সরকার ‘নিবিড় যোগাযোগ’ রাখছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর দ্যা লেবার সেক্টর’ প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে ‘মিনিমাম এইজ কনভেনশন-১৯৭৩ (সি১৩৮)’ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে ইইউর। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

মন্ত্রী বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে কি না- সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া ভবিষ্যতে ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রণয়ন করবে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায় সেজন্য সরকার কাজ করছে।”

সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে।

গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজার ৯৭৪ দশমিক ০১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের উত্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগের আগাম বার্তা মোবাইলে জানতে আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

যে কোন মোবাইল থেকে টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বরে কল করে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আগাম বার্তা, দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা, নদ-নদী বন্দরগুলোর সতর্কবার্তা এবং বন্যার পূর্বাভাস জানা যাবে।

আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি