ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

নাগরিকত্ব বিলের আনন্দে শিশুর নাম রাখল ‘নাগরিকতা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

সাত বছর ধরে নাগরিকত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে পাকিস্তানের এক হিন্দু শরণার্থী পরিবার। ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় দিল্লির উদবাস্তু শিবিরেই দিন কাটাচ্ছেন তারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশের পরেই পরিবারের এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে বলেই বিশ্বাসী তারা।

শিগগিরই কাঙ্খিত নাগরিকত্ব পাবে বলে আশাবাদী দিল্লির এই পরিবার এই আনন্দেই তাদের নবজাতক কন্যার নাম রেখেছে ‘নাগরিকতা' অর্থাৎ নাগরিকত্ব। লোকসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাস হওয়ার আগে জন্মগ্রহণ করে এই শিশু, তবে নামকরণ হয় বিল পাস হয়ে যাওয়ার পরের সকালেই। নাগরিকতার পরিবার ২০১২ সালে ভারতে এসেছিল। উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলায় একটি পুনর্বাসনের কলোনিতে বাস করে এই পরিবার।

নাগরিকতার মা আরতি এনডিটিভিকে বলেন, “আমরা সাত বছর ধরে নাগরিকত্ব পেতে ছুটছি এবং এখনও পাইনি। নাগরিকতার জন্মের পরে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা নাগরিকত্ব পাবই।” 

নাগরিকতার ঠাকুমা মীরা দাস পিটিআইকে বলেন, বিলটি রাজ্যসভায় পাস হয়ে যাবে এমনটা তাদের মনে হচ্ছিলই, সেই কারণেই তাদের পরিবার কন্যার নাম ‘নাগরিকতা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লোকসভায় যাতে বিলটি দ্রুত পাস হয়ে যায় সেজন্য প্রার্থনাও করেছিলেন তিনি।

নাগরিকতার ঠাকুমা এএনআইকে বলেন, “মেয়ের জন্মের পর থেকেই প্রত্যেকে নাগরিকত্বের কথাই বলে আসছে, তাই আমরা ওর নাম নাগরিকতা রেখেছি। আমরা আশা করি আমরাও নাগরিকত্ব পাব। আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই; আমরা এখানে সত্যিই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।”

মজনু কা টিলা অঞ্চলে অস্থায়ী তাঁবু এবং প্লাস্টারহীন ইঁটের দেওয়াল আর অ্যাসবেস্টসের ছাদের নীচে আশেপাশের দেশ থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৭৫০ জন হিন্দুদের আশ্রয়স্থল। রোহিনী সেক্টর ৯ এবং ১১, আদর্শ নগর এবং সিগনেচার ব্রিজের কাছে পুনর্বাসনের কলোনিতে বাস করেন এমন হিন্দুদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

শিশুদের নামকরণে এমন ভাবনা নতুন কিছুই নয় যদিও। শিশুর জন্মের সময় সাহায্যের কারণ হয়ে ওঠা কোনও কিছুর ভিত্তিতে নামকরণ আগেও হয়েছে। ২০১৬ সালে বিহার বন্যার সময় যে শিশুরা জন্মেছিল তাদের অনেকেরই নাম রাখা হয়েছিল নমামি গঙ্গে, গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম এবং এনডিআরএফ সিং।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি