পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীদের কঠোর নির্দেশ অমিত শাহের
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারতের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভিসা বাতিলের পর কোনো পাকিস্তানি নাগরিক যাতে ভারতে থাকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আজ শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে তিনি বলেছেন, ভিসা বাতিলের পর পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে যেন দ্রুত ফেরত পাঠানো হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তাদের কড়া নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, রাজ্যে কোনো পাকিস্তানি থাকলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ থাকলে তাকে শনাক্ত করে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
এর আগে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাত দফা ব্যবস্থা নেয় ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে পদক্ষেপগুলো হলো-
ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করেছে। মোদির সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ না করলে এটি স্থগিত থাকবে।
বুধবার আত্তারি সমন্বিত চেকপোস্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যারা অনুমোদন নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তাদের ১ মে-এর আগে ওই পথ দিয়ে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে।
পাকিস্তানি নাগরিকদের সার্ক বিশেষ ভিসার আওতায় ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের পূর্বে জারি করা ওই ক্যাটাগরির ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এ ভিসাধারী সকল পাকিস্তানিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা/সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেশত্যাগের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ভারত ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে তাদের প্রতিরক্ষা কর্মীদের প্রত্যাহারের ঘোষণাও দিয়েছে।
ভিসানীতি আরও কড়াকড়ি করেছে ভারত। তাৎক্ষণিক এক সিদ্ধান্তে পাকিস্তানি নাগরিকদের সব ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। সব পাকিস্তানি নাগরিককে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলেছে। তবে যাদের মেডিকেল ভিসা আছে তারা কেবল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পাঞ্জাবের আটারি, হুসেইনিওয়ালা এবং সাদকিতে রিট্রিট অনুষ্ঠানের সময় আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী কমিয়ে আনার জন্য একটি সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূল পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গার্ড কমান্ডারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ গার্ড কমান্ডারের প্রতীকী করমর্দন স্থগিত করা। অনুষ্ঠানের সময় গেটগুলো বন্ধ থাকবে। এই পদক্ষেপটি আন্তঃসীমান্ত শত্রুতা সম্পর্কে ভারতের গুরুতর উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে এবং পুনরায় নিশ্চিত করে যে, শান্তি এবং উসকানি একসঙ্গে চলতে পারে না।
এমবি//
আরও পড়ুন