ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশি তৎপরতায় ঝিমিয়ে পড়েছে চীনের বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২২

চীনে গত শনি-রোববার কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভগুলোতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের অনেকে বলেছেন যে তারা পুলিশের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন। রাজধানী বেজিংএর বেশ কয়েকজন বলেছেন, পুলিশ তাদেরকে ফোন করে তারা কোথায় আছেন সে ব্যাপারেে তথ্য চাইছে। কীভাবে পুলিশ তাদের পরিচয় জানতে পারলো তা স্পষ্ট নয়।

চীনের বেজিং সাংহাই ও উহানের মত বেশ কিছু শহরে হওয়া ওই বিক্ষোভে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল। এসব বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেয়া হয় – যা চীনে অত্যন্ত বিরল ঘটনা।  

বিক্ষোভের অবসান ঘটাতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

শহরগুলিতে পুলিশ উপস্থিতি অনেকগুণ বেড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে যেন তারা আইন না ভাঙে।

বিক্ষোভ এর মধ্যেই স্তিমিত হয়ে আসছে।  সোমবার বেজিংএ যে বিক্ষোভ হবার কথা ছিল – তা সমাবেশস্থলটি পুলিশ ঘিরে রাখার কারণে হতে পারেনি।

 সাংহাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ব্যবহৃত প্রধান সড়কটির পাশে  বড় বড় প্রতিবন্ধক বসানো হয়।

লোকজনের ফোন পরীক্ষা করছে পুলিশ

মঙ্গলবার সকালে বেজিং এবং সাংহাই শহরের এমন কিছু জায়গায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায় যেখানে টেলিগ্রাম -অ্যাপভিত্তিক কিছু গ্রুপ লোকজনকে জড়ো হবার আহ্বান জানিয়েছিল।

সোমবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাংজু শহরে একটি ছোট আকারের বিক্ষোভ শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে থামিয়ে দেয় এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

খবরে বলা হয়, পুলিশ অনেক লোকের ফোন পরীক্ষা করে দেখছে যে সেখানে ভিপিএন আছে কিনা, টেলিগ্রাম বা টুইটারের মত অ্যাপ আছে কিনা – যা চীনে নিষিদ্ধ।

গত দু দিনে বেশ কিছু লোককে  আটকও করা হয়  -  যার মধ্যে এমন লোকও আছেন যারা রাস্তায় ছবি তোলার জন্য থেমেছিলেন।  

বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন মহিলা বলেছেন – বেজিংএ একটি বিক্ষোভে যোগ দেবার পর তিনি ও তার পাঁচ বন্ধু পুলিশের ফোন পেয়েছেন।  তাদের একজন ফোন না ধরায় পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয় যে  তিনি তাদের ভাষায় “অবৈধ সমাবেশে” গিয়েছিলেন কিনা ।

আরেক জন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে  একটি থানায় গিয়ে “রোববার রাতে তারা কি কি করেছেন” তার একটি লিখিত বিবৃতি জমা দিতে বলা হয়েছে।

বেজিংএর একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন তারা মরিয়া হয়ে তাদের ‘ইন্টারনেট চ্যাট হিস্ট্রি’ মুছে ফেলছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি