ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে ‘জি’ নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল বন্ধ

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ২ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৭, ২ এপ্রিল ২০১৯

অবশেষে বাংলাদেশে সকল ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হতে চলেছে। এরইমধ্যে সোমবার জি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ।

তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও যেসব চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় সেসব চ্যানেলও কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।’

আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘কোন বাঁধা ধরা সময় নেই। একেবারে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কখনো বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় চ্যানেল দেখতে পারবে না। এখন শুধু বাংলাদেশি চ্যানেল দেখতে পারবে দেশের মানুষ।’

এদিকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কোনও চ্যানেল বন্ধ করেনি। শুধু আইনের প্রয়োগ করেছে মাত্র।
তিনি বলেন, আইন না মানার কারণে বাংলাদেশের টেলিভিশন খাতে বিজ্ঞাপনের বাজার বাইরে চলে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলাপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেশে ডাউনলিংকৃত বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া প্রোগ্রাম) চালাতে পারে।

উল্লেখ্য, ডাউনলিংকৃত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেশিয় বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে তথ্য মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গেলো ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২০১৯ এর ১ এপ্রিল এসে কার্যকর হলো।

বাংলাদেশে যেসব বিদেশি টেলিভিশন চ‌্যানেল দেখানো হয় সেগুলোতে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাতা, শিল্পী, বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের মধ্য দিয়ে তাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হলো।

ভারতীয় চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতির মুখের পড়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি