ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রকাশে এসআইবিএল এর প্রতিবাদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৫, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ২১:০০, ২৮ নভেম্বর ২০২২

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্যাংকটি।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এ প্রতিবাদ জানায়।

এমন সংবাদে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ (২৮ নভেম্বর ২০২২) কিছু পত্রিকায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে, যা কারোরই কাম্য নয়।’

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘আমাদের দুটি বিনিয়োগগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মেসার্স শার্প নিটিং এন্ড ডায়িং লিমিটেড এবং ব্লা্ইথ ফ্যাশন লিমিটেড।’

বলা হয়, ‘মেসার্স শার্প নিটিং এন্ড ডায়িং লিমিটেড ২০১৫ সালে চলতি হিসাব খুলে ব্যাংকের বনানী শাখায় লেনদেন করে আসছে। গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে তাদের অনুকূলে একটি বিনিয়োগ লিমিট অনুমোদিত হয়। বর্তমানে গ্রাহকের কাছে হালনাগাদ মুনাফাসহ আমাদের পাওনা সর্বসাকুল্যে ১৬৩ কোটি টাকা। গ্রাহক নিট গার্মেন্টস ব্যবসায় জড়িত।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাদের অনুকূলে ৮৮১টি লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ১৩৯ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা স্থানীয় এলসি সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর বিপরীতে বর্তমানে অনাদায় রয়েছে ২২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা মাত্র। গ্রাহক ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৪৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন। এর অতিরিক্ত ১১৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট ফাইন্যান্স প্রদান করা হয়েছিল। সুতরাং ১৫৯ কোটি ১৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯২ ডলার বা ১৬ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার ব্যাক টু ব্যাক এলসি-দায়ের বিষয়টি একবারেই বানোয়াট ও অসত্য।’

আরও বলা হয়, ‘গ্রাহক নিয়মিত দায় পরিশোধ না করায় ও ব্যাংকের দায় বকেয়া পড়ায় ইতোমধ্যেই এনআই অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। অধিকন্তু গ্রাহক বর্তমানে দায় পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।’

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘ব্যাংকের মিরপুর শাখার অপর গ্রাহক ব্লাইথ ফ্যাশন লিমিটেড এর বর্তমান দায় রয়েছে ১১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা মাত্র এবং ২০১৮ পর্যন্ত তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। উভয় গ্রাহকের দায়ের বিপরীতে তাদের কারখানার জমি ও ফ্যাক্টরি বিল্ডিং ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধক রয়েছে। তদুপরি তাদেরকে স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা দেয়া হয়েছে। কোনরকম বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা দেয়া হয় নাই।’

এই অবান্তর রিপোর্টের মাধ্যমে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এতে সাধারণ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি