ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে আজ লাওসের মুখোমুখি বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১০:৪৫, ১১ জুন ২০১৯
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে আজ লাওসের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। বাঁচা-মরার লড়াইয়ের এ ম্যাচেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ফুটবলের ভাগ্য।
প্রথম ম্যাচে লাওসের মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সুবিধাজনক স্থানে আছে। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে আজ তাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
শক্তিশালী লাওস ঘরের মাঠে হারলেও, যেকোন মূহুর্তে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়ার সামর্থ রাখে। সে আভাসও দিয়েছেন দলের কোচ সুন্দ্রামমুর্তি এবং অধিনায়ক সৌক আফনি। এবার তারা ঢাকার মাঠে সুদে আসলে আদায় করে নিতে চায়।
৬ জুন লাওস বাংলাদেশের কাছে হারে। ফলে হিসেবটাও তাই একটু কঠিন। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে আজ বাংলাদেশকে হয় ড্র কিংবা ১-০ গোলে জিততে হবে। কিন্তু হারলেই বিদায়।
লাউস যদি ১-০ গোলে জিতে তাহলে দু’দলের পয়েন্ট সমান হবে। তখন খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। আর যদি ২-০ কিংবা ২-১ গোলে লাওস জিতে তাহলে বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হবে। টিকে গেলে দ্বিতায় রাউন্ডে।
সেখানে ৩৪ দলের সঙ্গে গ্রুপ পর্যায়ে লড়তে হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে সেখানে। প্রায় বছর জুড়েই খেলা থাকবে। খেলতে হবে আরো ৮টি দলের সঙ্গে।
কোনভাবে যদি বাংলাদেশ আজ ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় তাহলে প্রায় আগামী দুই-আড়াই বছর ফিফা এবং এএফসির স্বীকৃত কোনো খেলায় থাকবে না জামাল ভূঁইয়ারা। কারণ কাতার বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের বাছাই এক সঙ্গে চলছে। সবকিছু তাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের পারফর্মেনসের উপর।
ম্যাচ যে কঠিন হবে তা স্বীকার করেই কোচ জেমি ডে বললেন, প্রথম লেগে আমরা ভাগ্যক্রমে জিতেছি। বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। তাই, ড্র নয়, জেতার মানসিকতা নিয়েই আমরা মাঠে নামবো। যেহতু প্রতিপক্ষের গোল দরকার, তাই তারা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলবে-যোগ করেন তিনি।
আর অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া বললেন, প্রথম লেগটা পার করতে যেয়ে আমাদের বেশ কঠিন পথ পারি দিতে হয়েছে। এবারের চ্যালেঞ্জটা আরো কঠিন। তাই, আমরা ভবিষ্যৎ নয়, আজকের ম্যাচে জয়ের ব্যাপারেই ভাবছি।
বাংলাদেশের জন্য দুটি বড় সমস্যা হতে পারে। প্রথমটি হচ্ছে বর্তমানে ফিফা এবং এএফসির খেলায় যে ফুটবল দিয়ে খেলা হয় সেটির সঙ্গে বাংলাদেশ এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি।
আর গত দুদিনে মাঠের ঘাস কেটে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এমন মাঠে খেলার গতি দ্রুত বেড়ে যায় যেখানে দ্রুতগতিতে মানিয়ে নিতে পারে না বাংলার ফুটবলাররা এখন যে ফুটবলে খেলা হয় সেটি খুবই দ্রুতগতির। তবে, একাধিক খেলোয়ারের কণ্ঠে ওঠা এমন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কোচ জেমি। তারপরও আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ। দিনশেষে ভাল কিছু হবে এটাই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমিদের।
আই/এসএ/