ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

মিলেছে সেই অজ্ঞাত মৃত নারীর পরিচয়, গ্রেফতার ১

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ১৫ অক্টোবর ২০২০

অবশেষে মিলেছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা সেই নারীর পরিচয়। ওই নারীর নাম লাকী বেগম (৩৫)। বোনের সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে শ্যালক-দুলাভাই মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে।

নাটোরের লালপুরের এই ঘটনার তিনদিন ঘর প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে নাটোর জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় লালপুর উপজেলার আড়বাব মধ্যপাড়া এলাকার মানিক আলীর ছেলে টুটুল আলীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর লালপুর উপজেলার অর্জনপুর বরমহাটি ইউনিয়নের ডহরশৈলা এলাকার লিচু বাগানের ভিতর থেকে অজ্ঞাত ৩৫ বছরের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারীর লাশ শনাক্তের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কিন্তু কেউ লাশ শনাক্ত করতে পারে না। পরে লালপুর থানায় একটি মামলার দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। 

এরপর বড়াইগ্রাম সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তারের নেতৃত্বে ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে নামে পুলিশ। শনাক্তের জন্য ভিকটিমের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হয়। পরে সিআইডি এবং এনআইডি সফটওয়ারের মাধ্যমে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিতের পাশাপাশি হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর লালপুর থানার ২টি টিমসহ ৪টি টিম অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত টুটুল আলীকে মাগুরা সদর থানাধীন শিমুলের ঢাল নামক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের লেবারের শেড হতে গ্রেফতার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি টুটুল জানায়, তার দুলাভাই আসাদুল ইসলামের পরামর্শে তারা শালা-দুলাভাই মিলে লাকী বেগমকে হত্যা করেছে।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ভিকটিম লাকীর সঙ্গে হাবিবপুর গ্রামের ইসমাইলের প্রথম বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আসাদুলের সঙ্গে লাকী বেগমের পরকীয়ায় একাধিকবার বিয়ে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে আসামি টুটুলের বোনের সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। পরবর্তীতে গত ৬ অক্টোবর আসাদুল তার শ্যালক টুটুল এবং লাকী বেগমকে ফোন করে ঈশ্বরদী বাইপাসে আসতে বলে। 

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী- আসাদুল ও টুটুল বাইপাস হতে হাঁটতে হাঁটতে ডহরশৈলার দিকে যেতে থাকে। ওই সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্রই পরিকল্পনা মোতাবেক আসাদুল ভিকটিমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং গলা চেপে ধরে। আসামি টুটুল ভিকটিমের হাত ধরে রাখে এবং শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ রাস্তার পাশে লিচু গাছের নিচে রেখে পালিয়ে যায়।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি