সফল বাঙালি বজ্ঞিানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৫৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু; সফল বাঙালি বজ্ঞিানী। উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে তা-ই আবিষ্কার করেন জগদীশ চন্দ্র বসু। তাঁর গবষেণার প্রধান দিক ছিলো উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। জগদীশ চন্দ্র বসুর স্মৃতি-স্মরণে পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জের রাঢ়িখালের জেসি বোস কমপ্লেক্সে প্রায় প্রতিদিনই পর্যটক সমাগম ঘটে দেশের নানা প্রান্ত থেকে।
বাঙালির গৌরব স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু- পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী। একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতাও তিনি। গাছের প্রাণ সম্পর্কে দীর্ঘ দিনেও বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পারেননি। জগদীশ চন্দ্র বসুই প্রথম পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন, উদ্ভিদের প্রাণ আছে।
তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ ও উদ্ভিদের উত্তেজনার বেগ নিরূপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র রিজোনাস্ট রেকর্ডার অন্যতম। জগদীশ চন্দ্র কাজ করেন মাইক্রো বেতার তরঙ্গ নিয়েও। যার প্রয়োগ ঘটে আধুনিক টেলিভিশন এবং রাডার যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
জগদীশ চন্দ্র বসু যে গ্যালিলিও-নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী তার স্বীকৃতি দেয় লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা, ১৯২৭ সালে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে।
১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর; জন্ম স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর। পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রাম। ২৩শে নভেম্বর ১৯৩৭ সালে মৃত্যুর পর স্মৃতি ধরে রাখতে রাঢ়িখালে নির্মাণ করা হয় জেসি বোস কমপ্লেক্স। এখানে রয়েছে ভ্রমণ-পিপাসুদের জন্য নৈসর্গিক পরিবেশে পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এখানে।
উদ্ভিদের প্রাণ আবিষ্কারের জনক জগদীশ চন্দ্র বসু যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন তার অমর সৃষ্টিতে; বাঙালীর গৌরবের পতাকা উঁচিয়ে।
আরও পড়ুন