ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সবচেয়ে বৃহৎ আইপিও নিয়ে পুঁজিবাজারে আসার অনুমতি পেল রবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড শেয়ার বাজারে আইপিও ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে। আজ বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এ ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এটি দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ আইপিও বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে এই আইপিও’র প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ১০ টাকা করে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে সৌহার্দ্যের স্মারক হিসাবে এত বড় আইপিও নিয়ে এসেছে শতভাগ বিদেশী মালিকানার এই কোম্পানি।

দেশের বাজারে এ আইপিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ঝিমিয়ে পড়া পুঁজি বাজারে চাঙ্গা ভাব ফেরাতে সহায়ক হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেছেন।

রবি আজিয়াটা লিমিটেড বলছে, ৫২৩ কোটি টাকা বাংলাদেশের বাজার থেকে তোলার জন্য তাদের যতটা না আগ্রহ ছিল; তার চেয়ে আগ্রহ গ্রাহক এবং দেশের মানুষের সাথে একটি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানির মালিকানা শেয়ার করায়।

কোম্পানিটি গত বছর দেশের পুঁজিবাজারে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। এ জন্য নিয়োগ করে ইস্যু ম্যানেজার। পুঁজিবাজারে প্রবেশ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নিশ্চিত করার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তারা বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেছে।

দেশের সবচেয়ে বেশি কর সংগ্রহ করা খাত টেলিকম। এ খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্স। গত বছর ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্সের জন্য কার্যকর করের হার দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশ। টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হলে এ বছর কার্যকর করের হার দাঁড়াবে ৮০ শতাংশের বেশি।

বর্তমানে শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির জন্য ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হয়ে থাকে। তবে গ্রামীণফোন যখন শেয়ার বাজারে এসেছিল তখন তারা ১০ শতাংশ রেয়াত পেয়েছিল। তাই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত করের পার্থক্য ১০ শতাংশ হওয়া উচিত যা ১০ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। তাই এ খাতের কর সীমা সহনীয় করার দাবি জানিয়েছে রবি।

এর মধ্যে আইপিও ছাড়ার যে প্রস্তাব পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “আমাদের আইপিও আবেদনে সদয় অনুমোদন প্রদানের জন্য বিএসইসিকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটি নিঃসন্দেহে রবির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মূলধনী শেয়ার হিসেবে আমরা তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। সরকারের কাছে আমাদের কিছু প্রত্যাশা ছিল, আমরা আশা করছি এ অনুমোদনের সাথে সাথে সে বিষয়গুলোও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সদয়ভাবে বিবেচনা করা হবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে রবিতে জনগণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। উদ্ভাবনী শক্তিতে উজ্জীবিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা কামনা করছি।”

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি