ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪

সরকারি ২২৩ টি সেবা ই-সেবায় রূপান্তরের পরিকল্পনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সরকারি ২২৩টি সেবা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ই-সেবায় রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারি সেবাসমূহ আরো সহজ করার লক্ষ্যে “ই-সার্ভিস রোডম্যাপ ২০২১ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা পর্যালোচনা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জনাব মো. জিয়াউল ইসলাম এবং এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ তাদের সেবাসমূহকে অধিকতর সেবামুখী, জনবান্ধব, সহজ ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচলিত প্রথাগত সেবাপদ্ধতি থেকে ই-সার্ভিসে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহকে দ্রুত ও সঠিকভাবে ডিজাইন, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রাম বিভিন্ন প্রকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব  মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রতিটি দপ্তরকে বছরে একটি করে সেবা ই-সেবায় রূপান্তর এবং আইসিটি ডিভিশন ও বিসিসিকে ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, দপ্তরসমূহের আইসিটি সেলের কর্মকর্তাদেরকে এটুআইয়ের সহযোগিতায় ই-সার্ভিস বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, ২২৩টি ই-সার্ভিস তৈরি করার মাধ্যমে নাগরিকদের আরও দ্রুত ও সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে তিন মাস অন্তর অন্তর কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও এটুআই যৌথভাবে মোট ৭টি ব্যাচে “ই-সার্ভিস রোডম্যাপ-২০২১” শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা আয়োজন ও পরিচালনা করেছে। এই পরিকল্পনা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ তাদের সিটিজেন চার্টার ও সকল কার্যক্রম বিশ্লেষণপূর্বক ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য অগ্রাধিকারভিত্তিক সকল ই-সার্ভিস এর পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। যা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দপ্তর প্রধান কর্তৃক যাচাই বাছাই পূর্বক অনুমোদন করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭টি ব্যাচে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/দপ্তরসমূহের ১৫০ জন কর্মকর্তাগণ “ই-সার্ভিস রোডম্যাপ-২০২১” শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাদের দপ্তর সমূহের ৮০৯টি সেবাকে বিশ্লেষণপূর্বক ২২৩ টি ই-সার্ভিস সফলতার সাথে বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায়, বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী দপ্তর ও সেবাগ্রহীতাদের সমন্বয়ে প্রণয়নকৃত ই-সার্ভিস রোডম্যাপ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার তালিকার ১ ও ২ নং ই-সার্ভিসগুলি নিয়ে দপ্তরগুলির আগ্রহের ভিত্তিতে ৩৪টি জনবান্ধব ই-সার্ভিসের নকশা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যমান সেবা গ্রহণে তাদের কি কি ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় তা বিবেচনা করে ই-সার্ভিস ডিজাইনে তাদের স্বপ্ন, প্রত্যাশা হাতে-কলমে তুলে ধরা হয়েছে এর মাধ্যমে। এর ফলে সেবাগ্রহীতারা একদিকে যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে তেমনিভাবে নিজের চাহিদামত ই-সার্ভিস ডিজাইন করতে সক্ষম হচ্ছে। এর ফলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি নতুন দ্বার উম্মোচন হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ই-সার্ভিস রোডম্যাপ ২০২১ ও ই-সার্ভিস ডিজাইন ও পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ৩২ জন সচিব এবং ৬০ টি দপ্তরের দপ্তর প্রধানরা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি ডিভিশন, বিসিসি ও এটুআই প্রোগ্রামের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন বিশেষজ্ঞ ফরহাদ জাহিদ শেখ।

আরকে/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি