২৩ দিনে রাজধানী থেকে নিখোঁজ ৭ জন
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৩৫, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
১৪ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর-২৩ দিনে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সরকারী কর্মচারীসহ ৭ জন। এছাড়া পাবনা, রংপুর ও বরিশালে নিখোঁজ হয়েছেন আরও ৩ তরুণ। এদের মধ্যে দু’জন মেডিকেল কলেজ ও একজন মাদ্রাসা ছাত্র। হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ, শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার সাথে জড়িতরাও ঘটনার কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছিলেন। সম্প্রতি নিখোঁজ ১০ তরুণও কি ওই জঙ্গিদের মতো উগ্রপন্থায় ঝুকে পড়েছে। না-কি ব্যক্তিগত কারণে নিখোঁজ রয়েছেন তারা-এ প্রশ্নের উত্তর খুজছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
১৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মচারী আহসান হাবীব। দিনাজপুরে অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।
২৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানার মাটিকাটা এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরেননি কেয়ার মেডিকেল কলেজের ছাত্র ইমরান ফরহাদ।
৩০ নভেম্বর নিখোঁজ হন পাবনা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তানভির আহমেদ তনয়।
১ ডিসেম্বর ডিসেম্বর নিখোঁজ হন পাবনা মেডিকেল কলেজের আরেক ছাত্র জাকির হোসেন বিপ্লব। গ্রামের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া থেকে লালমনিরহাট যাওয়া নাম করে বের হয়ে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।
একই দিন রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন সাফায়েত হোসেন, জাইন হোসেন খান পাভেল, মেহেদি হাওলাদার ও মোহাম্মদ সুজন।
এদের মধ্যে সাফায়েত ও জাইন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেহেদি হাওলাদার বরিশালের বিএম কলেজের ছাত্র। আর সুজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সর্বশেষ তাদের বনানী কাচাবাজার এলাকার নর্দান ক্যাফে রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে।
৫ ডিসেম্বর কলাবাগানে যাওয়ার কথা বলে বনানীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাঈদ আনোয়ার খান।
৬ ডিসেম্বর বরিশালের আগৈলঝারা থেকে নিখোঁজ হন মাদ্রাসা ছাত্র নেয়ামতউল্লাহ বেপারী।
পহেলা জুলাই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার সাথে জড়িতরা ঘটনার কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হন। সম্প্রতি নিখোঁজ ১০ তরুণও কি ওই তরুণদের মতো স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে কি-না তা-ই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন