ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্যবসায় সূচক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের সংযুক্তি বাড়ানোর পরামর্শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্যবসায় সূচন উন্নয়নে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্টদের যুক্ত করে নতুন কৌশল নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে বিদ্যমান নীতি-কৌশল যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করেন তারা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফান্ডের কারিগরি পরামর্শক কমিটির (টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটি) তৃতীয় সভায়  অংশ নিয়ে অর্থনীতিরা এ পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতবিদসহ, গবেষক, বেসরকারি খাত ও নাগারিক সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি বিশ্ব ব্যাংক ও ইউকেএআইডির যৌথ সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফান্ডকে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রেজা অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। তবে সেজন্য গড়ে ১১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন।

“বর্তমান নীতি-কৌশলে সে ধরনের প্রবৃদ্ধি আসবে না। সেজন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের নীতি সহায়তা আরও আধুনিক করা এখন সময়ের দাবি। বেসরকারি খাতগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো প্রয়োজন।”

বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ‘ডুয়িং বিজনেস’সূচকে একধাপ এগিয়ে এখন ১৭৬তম স্থানে রয়েছে। উন্নতি হলেও ব্যবসার পরিবেশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখনও সবার চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

বৈঠকের শুরুতেই ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের কর্মকর্তারা বিআইসিএফ এর অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যরা এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে অদক্ষ ব্যবস্খাপনা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যে একটি বড় সমস্যা, সে বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়। আইএফসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো নতুন বিনিয়োগের জন্য সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন নিতে হয়।

এ প্রসঙ্গ ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন,অনেক দেশে মন্ত্রীর সংখ্যাও সব মিলিয়ে ২২ জন নয়। বাংলাদেশে প্রশাসনযন্ত্রের আকারেই সমস্যা রয়ে গেছে। এই প্রশাসনযন্ত্র যেমন বেঢপ এবং তেমনি অদক্ষ।

বৈঠকে বলা হয়, নিউজি ল্যান্ডের বন্দরগুলোতে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ পণ্য মাত্র ৩০ মিনিটে খালাস করা হয়। আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করতে গড়ে আট দিন সময় প্রয়োজন লাগে।

বাংলাদেশে বন্দরে পণ্য চালানের ছাড়পত্র পেতে কেন ২০/২২টি সই লাগবে- সেই প্রশ্ন তোলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। তিনি বলেন,বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রেরও সংস্কার প্রয়োজন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে এই বিষয়টি যুক্ত করা।

বৈঠকের আলোচকরা এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সহায়তা চান। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নের জন্য সংস্কারের বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলো যাতে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করে সে বিষয়ে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সচেতনতা তৈরির জন্য গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান আসে বৈঠক থেকে।
 

টিআর/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি