ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ আগস্ট ২০২৫

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আবারও ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে

প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ১৪ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪৪, ১৪ মার্চ ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে আবারও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ নিয়ে পাঁচ দফায় আড়াই মাস সময় পেলো রাষ্ট্রপক্ষ। সময় আবেদনের শুনানীতে বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আদালত। মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনাও দেন সর্বোচ্চ আদালত। গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। খসড়াটি মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে জানায় আপিল বিভাগ। ওই খসড়া সংশোধন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। এরপর দফায় দফায় সময় দেওয়া হলেও সরকার রায়ের আলোকে বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় ১২ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে আপিল বিভাগ। অন্যদিকে আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতি ‘সিদ্ধান্ত’ দিয়েছেন। আইন সচিব এবং সংসদ বিভাগের সচিব তলবে হাজির হলে বিধিমালা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি । আর গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন আপিল বিভাগ। এরপর আরও চার দফায় সময় নেয় সরকার। মঙ্গলবার শুনানীতে আবারো ৪ সপ্তাহের  সময় আবেদন করেন অ্যাটির্র্নি জেনারেল। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যর পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ দুই সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। সেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আদালত। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে অসম্মতি জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। এ নিয়ে পাচঁ দফায় আড়াই মাস সময় পেলো রাষ্ট্রপক্ষ।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি