ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

একজন করোনাযোদ্ধা কামরুজ্জামান জসিম

আবুল হাসান, মোংলা

প্রকাশিত : ১৫:১৩, ১০ আগস্ট ২০২১

দেশের সমুদ্র বন্দর মোংলায় করোনায় আক্রান্তদের খাদ্য, ফলমূল আর মুমূর্ষু রোগির প্রাণ বাঁচাতে অক্সিজেন নিয়ে ছুটে বেড়ান তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ কামরুজ্জামান জসিম। এছাড়া তিনি আক্রান্তদের প্রয়োজনী ওষুধ সরবরাহ করে আসছেন। শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকেরও প্রতিষ্ঠাতা এই তরুণ নেতা।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মোংলায় করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এই নেতা মানুষের মাঝে সচেতনা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা চালান। শেখ কামরুজ্জামান জসিম একসময় করোনায় আক্রান্ত হন। সে সময় সুস্থ হয়ে লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দিতে থাকেন। এছাড়া তিনি আক্রান্তদের ফলমূল ও নানা ওষুধ সরবরাহ করা শুরু করেন।

পরে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে তিনি করোনায় মুমূর্ষ রোগির প্রাণ বাঁচাতে বিনামূল্যে শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংক সেবা চালু করেন। এ সেবা কার্যক্রম এলাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর থেকে মোংলার জনপদে তিনি একজন করোনাযোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি পান। 

সংক্রমণের শুরু থেকে উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে গণসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করে আসছেন তিনি। নিজস্ব অর্থায়নে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে মুমূর্ষ রোগীর বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়া আক্রান্তদের বাড়িতে নিজে গিয়ে নিজে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন।

কোন পরিবার খাদ্য সংকটে রয়েছে এ খবর পেলে সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী পক্ষে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন মোংলা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তার গোসল, জানাজা, দাফন-দাহ’র আয়োজন করাসহ সংশ্লিষ্ট পরিবারকে সহায়তা দিয়ে আসছেন।

শুধু করোনাকালে নয় এ তরুণ নেতা প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ সকল দুর্যোগে রাত-দিন দুর্গত মানুষের সেবা দেন। জনগণকে সচেতন করার লক্ষে মাইকিংসহ সরকারি আশ্রয়ণে আশ্রিতদের নানা সহায়তা করে
আসছেন।

মোংলা উপজেলার শেহালাবুনিয়ার সঞ্জয় সর্দার ও কাইনমারি এলাকার প্রভাতি মণ্ডল বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর জসিম ভাই জানতে পেরে আমাদের বাড়িতে আসেন। তিনি ওষুধসহ অক্সিজেন সেবা দিয়ে যান। এরপরও তিনি আমাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর রাখেন। আমার পরিবার তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। 

উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিবেশবিদ শেখ নুর আলম শেখ বলেন, কামরুজ্জামান জসিম একজন সম্ভাবনাময় মানবিক তরুণ নেতা। তিনি মোংলার একজন করোনাযোদ্ধা। সংকটকালে তিনি করোনায় আক্রান্তদের পাশে স্বজনের মতো ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছেন, তার এই কর্মকাণ্ড অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা জীতিষ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সকলেই ঝুঁকির মধ্যে আছি, জীবনে এত খারাপ সময় মানুষের আর আসেনি। এসময় মানবিক সহায়তা নিয়ে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে করোনা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে ও হাসপাতালে যেভাবে কামরুজ্জামান সেবা দিচ্ছেন তাতে আমরা সত্যিই গর্বিত।’ 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি