ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ আগস্ট ২০২৫

ডনবাস দখল করেই কি পুতিন থামবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭, ৬ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ইউক্রেনের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিউপোলের পতনের পর থেকে আজভ সাগরের পুরো উপকূল এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। খেরসন বন্দরসহ পুরো খেরসন এলাকা এবং জাপোরোৎযিয়া এলাকার বিশাল অংশও এখন রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে, যেগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের অনেকের মধ্যেই এখন এমন ধারণা জোরদার হচ্ছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি সহজে পুরো ডনবাস দখল করতে পারেন, তাহলে তিনি সেখানেই হয়তো থামবেন না।

হয়তো তিনি ইউক্রেনের আরো এলাকা দখলের পথে যাবেন, যাতে ভবিষ্যতে কোন আলোচনা হলে তা তার শর্ত মেনেই হয়।

সম্প্রতি একজন রুশ জেনারেল খোলাখুলিই বলেছেন, মিকোলাইভ এবং ওডেসা হয়ে রোমানিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান তারা, যাতে মলদোভার রুশ অধ্যুষিত ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার সাথে রাশিয়ার একটি স্থল করিডোর তৈরি হতে পারে।

তার অর্থ, আজভ সাগরের পর কৃষ্ণসাগর থেকেও ইউক্রেনকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা আঁটছে রাশিয়া।

"পুরো (কৃষ্ণসাগর) উপকূল দখল করে ইউক্রেনের অর্থনীতিকে চরম চাপে ফেলার পথ নিতে পারে রাশিয়া, যাতে সাগর পথে ইউক্রেনের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়," আল জাজিরা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন মিলান-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইতালিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজের গবেষক এলেনোরা আমব্রেসেটি।

এই পথে রাশিয়া এগুবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ডনবাস দখলের যুদ্ধে তাদের হারজিতের ওপর।

ইউক্রেনীয় বাহিনী কি মনোবল হারিয়ে ফেলছে?

নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক নিবন্ধে বিশ্লেষক টমাস গিবন্স-নেফ লিখছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রুশ আর্টিলারি বা কামানের গোলাবর্ষণের প্রচণ্ডতার মুখে টিকতে পারছে না। তাদের প্রচুর সৈন্য নিহত হচ্ছে, নতুন যোগ দেয়া সৈন্য দিয়ে লড়াই চালাতে হচ্ছে এবং মানসিকভাবেও তারা বিপর্যস্ত।

ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন ইউক্রেনীয় পক্ষে শত শত সৈন নিহত হচ্ছে।

রুশ বাহিনীতেও মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে একই মাত্রায় কিন্তু তারা ধীরগতিতে হলেও যুদ্ধে অগ্রগতি ঘটাচ্ছে।

কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রের সামনের সারিতে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদলগুলো দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ার কারণে তারা ক্রমশই স্বল্প-প্রশিক্ষিত সৈন্যের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, যারা আসছে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা দল বা ন্যাশনাল গার্ড থেকে।

অন্যদিকে রুশ বাহিনীর 'রিইনফোর্সমেন্ট' আসছে ওয়াগনার প্যারামিলিটারি, মস্কো-সমর্থক চেচেন বাহিনী, এবং লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে।

যদিও সৈন্যদের মধ্যে মনোবল কমে যাচ্ছে এমন খবর প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে দু'পক্ষই তৎপর।

ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য সমস্যা হচ্ছে রুশদের হাতে গোলাবারুদ অনেক বেশি। একজন ইউক্রেনীয় জেনারেলের কথায়, "গোলাবারুদ একটা সমস্যা। আমরা একটি গুলি ছুঁড়লে ওরা ৫০টা গুলি ছোঁড়ে। আপনি এখানে কিভাবে লড়াই করবেন?"

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি