পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ৮ জুলাই ২০২২

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যানসহ শত শত রাজনৈতিক কর্মীকে মুজাফফরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুজাফফরাবাদের বিধানসভার গেটে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করার অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বর্তমানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত গিলগিট এবং হুনজার নাসিরাবাদে দুটি স্থানে মূলত অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে সরকারবিরোধীরা। সেখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এরআগে ২০০৮ সালেও এই ধরনের সরকারবিরোধী আন্দোলন করায় শিয়া সম্প্রদায়ের ১৪ জন রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের রাওয়াল পিণ্ডিতে পাঠানো হয়েছিল। তারা গেল ১৫ বছর ধরে কারাগারে বন্দি আছেন। এরইমধ্যে তাদের একজন মারাও গেছেন।
বেঁচে থাকা বাকি ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তারা ২০০৫ সালে একটি বিক্ষোভ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল, যেখানে পাঁচজন বিক্ষোভকারী এবং আধাসামরিক রেঞ্জারের দুই সদস্য প্রাণ হারিয়েছিলেন।
নিহত দুই রেঞ্জার কর্মীদের হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল ওই ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দির বিরুদ্ধে। তবে তা প্রমাণ করার জন্য গেল ১৫ বছরেও কোনও বিচার হয়নি।
এবারের বিক্ষোভকারীরা মার্বেল পাথরের খনির ইজারা নিয়েও ক্ষুব্ধ।
২০১৪ সাল পর্যন্ত, এলাকার মার্বেল পাথরের খনিগুলো ওইসব এলাকার অধীনে ছিল। সম্প্রতি চুক্তি ছিন্ন করে ওইসব খনির ইজারা মহমান্দ দাদা নামের একজন অস্থানীয় বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এইসব খনির সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার স্থানীয় মানুষের জীবন যাপন নির্ভর করে।
এছাড়া ৪ ও ৫ জুলাই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। এর আরেকটি কারণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ৬ জুলাই, পুলিশ এবং জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এধরনের বিক্ষোভ এটিই প্রথমবার নয়। তবে প্রতিবারের মত এবারেও এই বিক্ষোভে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এসবি/
আরও পড়ুন