আবের প্রতি শ্রদ্ধায় জাপানিদের ঢল
প্রকাশিত : ১৩:১৯, ৯ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:২২, ৯ জুলাই ২০২২

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে জাপানিরা। শুক্রবার নারা শহরের যেখানে শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হন শনিবার সেখানে ঢল নামে শোকাহত জাপানিদের। তারা আবের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিনজো আবেকে যে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল শনিবার সেখান থেকে একটি গাড়িবহর বেরিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয়রা। সেখানে আবের মৃতদেহ ছিল বলে ধারণা করছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
তবে অ্যাবের লাশ বহনকারী একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শবযান দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী থেকে শনিবার টোকিও’তে পৌঁছেছে।
এএফপি’সর এক সাংবাদিক শবযানটিকে জাপানের রাজধানীতে অ্যাবের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেখেছেন এবং টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনিয়র সদস্যদের কালো পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অ্যাবেকে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
শুক্রবার জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে গুলি করা ৬৭ বছর বয়সি শিনজো আবেকে। পুলিশ ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জাপানে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবে। তিনি দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
তার অনুসারী প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী রোববার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভোটের সম্মুখীন হবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, তিনি আবের ছায়া থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।
আবে তার সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। তাঁর সরকারের এই অর্থনৈতিক নীতি ‘আবেনমিকস’ নামে পরিচিত। তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবের সরকার প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়। ২০১৪ সালে আবের সরকার সংবিধানে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনে।
২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। আবে সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তার বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা খুব কম। কারণ দেশটিতে ছোট বন্দুকের (হ্যান্ডগান) ব্যবহার নিষিদ্ধ।
দেশটির ইতিহাসে অস্বাভাবিক এই রাজনৈতিক সহিংসতায় পুরো জাতি শোকে মর্মাহত।
এসএ/
আরও পড়ুন