ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পথে জাতিসংঘ পরিদর্শক দল
প্রকাশিত : ২০:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ'র প্রধান বলেছেন, তাদের একটি পরিদর্শক দল ইউক্রেনের বিপর্যস্ত ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে রওনা হয়েছে।
রাফায়েল গ্রসি বলছেন, এই সপ্তাহের শেষের দিকে দলটি ঐ কেন্দ্রে পৌঁছুবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টুইটারে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, "আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্রটির নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।"
গত মার্চ মাস থেকে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রুশ সেনাদের দখলে রয়েছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এই কেন্দ্রটির আশেপাশে লড়াইয়ের ফলে এর নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বেড়েছে।
ঐ এলাকায় গোলাবর্ষণের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরকে দায়ী করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউরোপ বৃহস্পতিবার একটি পারমানবিক বিপর্যয় থেকে "এক ধাপ দূরে" ছিল যখন ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে কেন্দ্রটির সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং ব্যাক-আপ জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, আগুনের কারণে বিদ্যুতের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝাপোরিঝিয়া ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রটিকে বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য ইউক্রেন এবং রাশিয়া একে অপরকে দায়ী করেছে। কিন্তু কোন্ পক্ষ আসলে দায়ী বিবিসি তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
গত মার্চের শুরুতে রুশ সামরিক বাহিনী পরমাণু কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ইউক্রেনের কর্মীরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে।
ক্রেমলিনের সরকার এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পরমাণু কেন্দ্রটি পরিদর্শন করার অনুমতি দেবে। ফলে ঐ এলাকায় বাস্তবে কী ঘটছে তা জানার জন্য আইএইএ পরিদর্শকদের এই সফরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তবে ইউক্রেন আশঙ্কা করেছিল যে জাপোরিশায় আইএইএ মিশনের সফর ঐ কেন্দ্রের রুশ দখলকে বৈধতা দেবে। পরে তারা অবশ্য পিছু হঠে আসে।
আইএইএ মহাপরিচালক বলেন, "ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা এর আশেপাশে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা আর সময় নষ্ট করতে পারি না।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরমাণু কেন্দ্রটির চারপাশে গোলাগুলির ঘটনা প্রধান উদ্বেগের বিষয় নয়, কারণ কেন্দ্রটিতে পুরু সুরক্ষা দেয়াল রয়েছে।
তবে এই কেন্দ্রটিতে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করায় মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। পরমাণু চুল্লি এবং তার ব্যাক-আপ জেনারেটরগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার অর্থ যেসব পাম্প দিয়ে চুল্লিকে ঠাণ্ডা রাখা হয় সেগুলো আর কাজ করবে না।
ফলে পারমানবিক জ্বালানির রডগুলো গলতে শুরু করে মারাত্মক বিকিরণের দুর্যোগ তৈরি করবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি/
আরও পড়ুন