রাশিয়ায় পুতিনের নতুন বৈদেশিক নীতি উন্মোচন
প্রকাশিত : ১০:২০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘রাশিয়ান বিশ্ব’-এর ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন বৈদেশিক নীতি উন্মোচন করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমাদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের মধ্যে নতুন এক পররাষ্ট্রনীতি পরিকল্পনা অনুমোদন করলেন পুতিন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুমোদন পাওয়া এই নীতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার উচিত স্লাভিক দেশগুলো, চীন এবং ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করা।
নতুন পররাষ্ট্রনীতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া স্লাভিক দেশগুলোর সঙ্গে যেমন সহযোগিতা বাড়াবে, তেমনি চীন–ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে তৎপর থাকবে। মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করা হবে। এ ছাড়া ২০০৮ সালে জর্জিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের পর মস্কোর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া আবখাজিয়া ও ওসেটিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা হবে। ইউক্রেনে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলেছে মস্কো।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে মানবিক কৌশলের কথা বলা হলেও এতে মূলত রুশ রাজনীতি ও ধর্মীয় সরকারি নীতির ধারণাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কট্টরপন্থী বিষয় যুক্ত হয়েছে, যাতে ইউক্রেনের কিছু অংশে মস্কোর দখলকে বৈধতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন রুশপন্থী সত্তাগুলোর প্রতি সমর্থনের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রনীতিতে আরও বলা হয়েছে, রুশ ফেডারেশন প্রবাসী রুশ নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় সমর্থন দেবে। তাদের স্বার্থরক্ষা ও রুশ সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে তারা। প্রবাসী রুশ নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তুলে ধরবে এবং এর ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করবে।
পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার বাইরে থাকা আড়াই কোটি রুশভাষী মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছেন। তাঁর দৃষ্টিতে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে এই লোকজন ভাগ্যবিড়ম্বনার শিকার। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের এই পতনকে ভূরাজনৈতিক বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেন।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর পুতিনের ৩১ পৃষ্ঠার এই পররাষ্ট্রনীতি পরিকল্পনা প্রকাশিত হল, যাকে বলা হচ্ছে ‘মানবহিতৈষী নীতি’। এতে বলা হয়েছে, রুশ বিশ্বের ঐতিহ্য ও আদর্শ এগিয়ে নেওয়া এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে রাশিয়া।
সূত্রঃ রয়টার্স
আরএমএ
আরও পড়ুন