ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

প্রিয়াঙ্কাকে রুখতে বিজেপিতে পরপর বৈঠক

প্রকাশিত : ১১:১১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৪৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

যোগী আদিত্যনাথ

যোগী আদিত্যনাথ

Ekushey Television Ltd.

পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে আসছেন প্রিয়াঙ্কা বঢরা। রাহুল গান্ধীর এক ঘোষণা কাঁপুনি ধরিয়েছে বিজেপি শিবিরে। কাল থেকে উত্তরপ্রদেশে শুরু হচ্ছে ধারাবাহিক বৈঠক। তাতে যোগ দেবেন যোগী আদিত্যনাথও। প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে পা রাখার আগেই লখনউ যাচ্ছেন অমিত শাহ।

মুখে বিজেপি যাই দাবি করুক, প্রিয়াঙ্কার অভিষেকে তলে তলে তারা প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে। সঙ্ঘও সতর্ক করেছে বিজেপিকে। কারণ মূলত দুটো। এক, প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে রাহুল বিজেপির উচ্চবর্ণ ও কিছু পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটে থাবা বসানোর চেষ্টা করবেন।

এসপি-বিএসপির জোটের পর যে ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির মূল ভরসা। উচ্চবর্ণের সংরক্ষণও করা হয়েছে যে কারণে। দুই, উত্তরপ্রদেশে রাহুল আক্রমণাত্মক হয়ে বিরোধী জোটের অঙ্কটিও গুলিয়ে দিয়েছেন।

ফলে এখন মায়াবতী-অখিলেশকেও কোনও একটা সমঝোতায় আসতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। ফলে বিজেপি কোন ঘুঁটি সাজিয়ে প্রার্থী দেবে, সেই সিদ্ধান্তটি অনেকটা ঝুলে গেল।

বিজেপি সূত্রের মতে, কাল থেকেই অঞ্চল ধরে ধরে বৈঠক করে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কাল কানপুরে বৈঠক হবে দলের। সেখানে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য উপস্থিত থাকবেন।

২৭ তারিখেও আর একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেদিন দিল্লি থেকে মন্ত্রী জে পি নাড্ডা যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকবেন আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। যোগী নিজের গড় গোরক্ষপুরে এ মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত একটি বৈঠক করবেন।  ৩০ তারিখে লখনউ গিয়ে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন অমিত শাহ।

বিজেপিকে বিপাকে পড়তে দেখে আজ খোঁচা দিয়েছে শরিক শিবসেনাও। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘রাহুল গান্ধী খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতের জনতার সঙ্গে গান্ধী পরিবারের যোগ অনেক দিনের।

ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহ্যও লোকে মনে রাখে। প্রিয়ঙ্কা আসায় কংগ্রেসের ভালই হবে।’ এমনকি যোগগুরু রামদেবও বলছেন, ‘সব রাজনৈতিক দলই তাদের সেরাটি দিচ্ছে। দেখা যাক কে লক্ষ্য ছুঁতে পারে!’

প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে উদ্বেগের জন্যই বিজেপি আজ পূর্ব উত্তরপ্রদেশের নেতা মনোজ সিন‌্হাকে সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য পাঠায়। যোগী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে মনোজ সিন‌্‌হাও দৌড়ে ছিলেন।

তিনি দাবি করেন, ‘কাল থেকে হাজার দুয়েক লোকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার প্রভাব শুধু সংবাদমাধ্যমেই আছে, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এই নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি