ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪

বিরতিহীন লাইভে একুশে টেলিভিশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৫, ১১ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২১:১৬, ১১ জানুয়ারি ২০২০

একুশে টেলিভিশনের লোগো

একুশে টেলিভিশনের লোগো

অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা লাইভ সম্প্রচারে এসেছে বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম টেরেস্টেরিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন-ইটিভি। এর ফলে এখন থেকে একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন লাইভে দেখা যাবে চ্যানেলটির সংবাদসহ জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠানমালা। 

একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটের (https://www.ekushey-tv.com/) উপরে হেডার অংশে দেয়া ETV LIVE বাটনে ক্লিক করলেই দেখা যাবে একুশের লাইভ স্ট্রিমিং। 

একুশে টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে ২৪ ঘণ্টার লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়াও পাঠকরা দেখতে পারবেন সমসাময়িক জাতীয়, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, রাজনীতি, খেলাধূলা, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, প্রবাস, ক্যারিয়ার, বিনোদন, লাইফ স্টাইলসহ সব খবর। 

দেশের জনপ্রিয় এই টিভি স্টেশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। এছাড়াও ‘খোলা জানালা’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ মতামতসহ দেখতে পাবেন নানা বিশ্লেষণ। 

একুশে টেলিভিশনে খবর ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন রয়েছে। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান সেরা নারীর সেরা রান্না, মজার টিফিন চাই; কমেডি শো মামাভাগ্নের বৈঠকখানা; লাইফ স্টাইল বিষয়ক অনুষ্ঠান বিয়ের রাজকন্যা, রুপ লাবণ্য, প্রবাস জীবন; গানের অনুষ্ঠান ফোক মোমেন্টেস, মিউজিক এক্সপ্রেস, গানের ওপারে; স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান হেলদি লাইফ, দ্য ডক্টরস ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে। 

এছাড়াও ভালো থাকা যায়, ইসলামী জিজ্ঞাসা, একুশের সকাল, ই-টেক, ভাইরাল শো দর্শকদের তথ্য বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে নিয়মিতই। এসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় নাটক ও সিনেমা একুশের দর্শকদের মন রাঙিয়ে চলেছে সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। 

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় একুশে টেলিভিশনের। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি দর্শকের মন।

শুরুতে টিভি চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সাইমন ড্রিং এবং বার্তা প্রধান ও পরিচালক ছিলেন মিশুক মুনীর। টিভি সাংবাদিক হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জ-ই-মামুন, মুন্নী সাহা, সামিয়া জামান, সামিয়া রহমান প্রমুখ।

কিন্তু সাড়া জাগানো এই টিভি চ্যানেলটি ২০০২ সালে আইনি জটিলতার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয়। একুশে শিকার হয় প্রতিহিংসার রাজনীতির। কিন্তু ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও সরকার যতটা দ্রুত বন্ধ করেছিল, খুলে দিতে সেই দ্রুততা দেখা যায়নি। আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে সময় লাগে পুরো দুটি বছর। অতঃপর ২০০৭ সালে আবারও সম্প্রচারের আসার পরে দ্রুতই দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নেয় একুশে টেলিভিশন।  

টেলিভিশন চ্যানেলটির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন- মোঃ সাইফুল আলম। রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারের জাহাঙ্গীর টাওয়ারে এর কার্যালয় ও স্টুডিও অবস্থিত।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি