ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৫

পদ্মা সেতু ঘিরে বিনিয়োগের পসরা (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ৫ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বহুমুখী পদ্মা সেতু এখন কোটি মানুষের উন্মাদনার বিষয়। গল্প-আখ্যানে ভরপুর এ সেতুর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত। দেশ ছাড়িয়ে আশাজাগানিয়া পদ্মার গল্প বিদেশেও পৌঁছেছে বহু আগে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর চালুর ঘোষণায় স্বস্তির ঝিলিক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মাঝে। এর মধ্য দিয়ে এই নদী পারাপারের ৫০ বছরের যে ভোগান্তি তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই নদী পারাপারে অর্থের সাশ্রয় যেমন হবে ঠিক তেমনিভাবে বাঁচবে মহামূল্যবান সময়।

এক সময়ের কল্পনাতীত দৃশ্য। এখন প্রমত্ত পদ্মা ভেদিয়ে চলবে গাড়ি, সারি-সারি। সব ধরণের বাহন চলবে ২৫ জুন থেকে। শুভযাত্রার আগে তাই পদ্মা সেতু নিয়ে যারপরনাই জল্পনা-কল্পনা মানুষে-মানুষে। 

কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণাঞ্চল আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ও রেলে ঘটবে অভুতপূর্ব উন্নতি। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত-বিপণন আর সম্প্রসারণের নিয়ামক হয়ে উঠবে স্বপ্ন-সাধের পদ্মা সেতু। 

জনদরিদ্রের হিসেব বলছে, প্রতি মাসেই পরিবর্তন হবে গরিবের সূচক। বছর শেষে তা দাঁড়াবে শূণ্য দশমিক আট-চার ভাগে। মোট দেশজ উৎপাদনে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ১ দশমিক দুই তিন শতাংশ থেকে দুই শতাংশ। শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপির অবদান বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “পদ্মা সেতুটাই হচ্ছে অর্থনীতির বড় সূচক। একটা নজিরবিহীন সুফল আমরা পেতে যাচ্ছি। এটা হলে জন চলাচল বাড়বে, পণ্য চলাচল বাড়বে এবং পণ্য চলাচল জন চলাচল বাড়ার কারণে বাজারগুলো সমন্বিত হবে। অনেক বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে মানুষ।”

এরইমধ্যে পদ্মা সেতু ঘিরে বিনিয়োগের পসরা সাজিয়েছেন উদ্যেক্তারা। এই বিশদ অঞ্চলে শিল্প কলকারখানার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক হবে অচিরেই। নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উন্নত হবে মানুষের সামগ্রিক জীবনমান। 

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হবে, সেই অর্থে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পণ্যের দামে সমতা আসবে। এখন যাওয়া-আসায় অনেক সময় লাগে, ব্যয়বহুল। পদ্মা সেতু চালু হলে সেই ব্যয়টা তুলনামূলক কমে আসবে। এভাবে এ থেকে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সুবিধা উঠতে থাকবে।”

এশিয়ান হাইওয়ের অন্যতম রুট এ এইচ ওয়ান এরইমধ্যে যুক্ত হয়েছে পদ্মা সেতুতে। এতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিবিড় সংযুক্তি ও প্রধান করিডোরও হবে এই সেতু। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। আমরা ব্যাপকভাবে চাচ্ছি সংযুক্ততা। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান ও মিয়ানমার-থাইল্যান্ড এবং সাউথ ইস্টের অন্যান্য দেশগুলো। এটা একটা সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে পারে, যে সহযোগিতায় আমরা উপকৃত হব। বিশেষ করে পায়রা পোর্ট হলে সেটা ব্যবহার করতে পারবে নেপাল-ভুটান। কাজেই এই সংযুক্ততায় বহু রকমের সুবিধা দেবে পদ্মার ব্রিজ।”

সামগ্রিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ উপযোগ সৃষ্টির দায়িত্ব এখন আমজনতার। আর তাতেই আসবে বহুমুখি সেতু নির্মাণের সার্থকতা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি