ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫

সুপার কাপ জয়োল্লাসে রিয়াল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৩, ১৭ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাজে পারফরমেন্সে স্প্যানিশ সুপার কাপে পরাজয় মানতে হলো বার্সেলোনাকে। রিয়াল মাদ্রিদ দূর্দান্ত পরফরমেন্স দেখিয়ে এবার চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে কাপ নিজেদের করে নিয়েছে। বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই লীগ মিলিয়ে ৫-১ অগ্রগামিতায় শিরোপা জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। প্রথম লীগে ৩-১ গোলে জিতেছিল তারা।


 এই নিয়ে  এ বছরে চতুর্থ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো রিয়াল। এ মাসের শুরুতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। রিয়ালের এটা দশম স্প্যানিশ সুপার কাপ। আগেরটা জিতেছিল ২০১২ সালে, বার্সেলোনাকেই হারিয়ে।


এবার পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় দলে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গ্যারেথ বেল ও ইসকোকেও একাদশের বাইরে রাখেন জিনেদিন জিদান। গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়কে ছাড়াই খেলতে নামা রিয়ালের জয়ের নায়ক আসেনসিও।


প্রথম লেগের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে চমৎকার এক গোলে জয় নিশ্চিত করেছিলেন। ঘরের মাঠে জালের দেখা পেতে সময় নেন মাত্র চার মিনিট। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে তার আচমকা শট যে জালে ঢুকতে পারে তা যেন ভাবতেই পারেননি সামান্য এগিয়ে থাকা মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগেন, জায়গা থেকে একচুল নড়েননি তিনি।

এই নিয়ে টানা ৬৮টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল করলো রিয়াল। সবশেষ গত বছর এপ্রিলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।


বার্সেলোনার খেলা ছিল শুরু থেকেই ছন্দহীন, খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল বোঝাপড়ায় ঘাটতি। প্রিয় খেলোয়াড়দের একের পর এক ভুল পাস সমর্থকদের হতাশায় বাড়িয়েছে শুধু।


তেমনি এক ভুলে ৩৩তম মিনিটে ফের গোল খেতে বসেছিল অতিথিরা। তবে লুকাস ভাসকেসের শট পোস্টে লাগলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় তারা। ছয় মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করেন করিম বেনজেমা।


দীর্ঘদিন ধরেই মাঝমাঠ ও রক্ষণ নিয়ে ভুগছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় গোলটিতে দলটির রক্ষণের দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাঁ-দিক থেকে মার্সেলো ছয় গজ বক্সে বেনজেমাকে পাস দেন। তার ঠিক পিছনেই ছিলেন সামুয়েল উমতিতি; কিন্তু তিনি যেন কিছু বুঝতেই পারলেন না, বল ধরে জায়গা বানিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার।


প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির দুটি একক প্রচেষ্টা ছাড়া অতিথিরা তেমন কোনো আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি। অষ্টাদশ মিনিটে দুজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেও শট নিতে পারেননি। খানিক পরেই বাঁ-দিক থেকে গোলমুখে বল বাড়িয়েছিলেন; কিন্তু সময় মতো ঠিক জায়গায় যেতেই পারেননি অনুজ্জ্বল সুয়ারেজ।


বিরতির পর কিছুটা গোছানো বার্সার দেখা মেলে।  ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান কমতেও পারতো; কিন্তু দুজনের ফাঁক গলে ডি-বক্সে ঢুকে মেসির নেওয়া কোনাকুনি শট ক্রসবারে লাগে। দুই মিনিট পর বেনজেমার কোনাকুনি শট টের স্টেগেনের কাঁধে লেগে বাইরে চলে যায়।


৭১তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুর্বল শট নেন সের্হিও রবের্তো। কেইলর নাভাসের গায়ে লেগে আসা বলে জোরালো শট নিলেন মেসি, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সামনে ঝাঁপিয়ে হেড করেন সুয়ারেজ, বল লাগে পোস্টে।
আরকে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি