ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইভান্সের কাছে কঠিন পরীক্ষা দিলেন ফেডেরার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

কথায় বলে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ। রজার ফেডেরারও সে রকমই বলছেন। অস্ট্রেলীয় ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রিটেনের ড্যান ইভান্সের সঙ্গে খেলতে নামার আগে সুইস মহাতারকারও সে রকমই মনে হয়েছিল। ‘যেন নিজের প্রতিবিম্বের সঙ্গেই খেললাম। ও তো হুবহু আমার মতোই খেলে। তাই ম্যাচের আগে কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলব। ম্যাচেও সেটাই হল। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে উঠতেই তিন নম্বর সেটে পৌঁছে গেলাম।’    

জিতলেন অবশ্যই ফেডেরার। তবে প্রথম দু’টি সেট জিততেই তার লেগে গেল প্রায় দু’ঘণ্টা। কিন্তু মজা হচ্ছে, ম্যাচের পরে জিম কুরিয়রকে কোর্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ইভান্স নয়, বেশি কথা বললেন সেরিনা উইলিমাসকে নিয়ে। স্বীকার করলেন, সেরিনার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে তিনি একেবারে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।

জানুয়ারির শুরুতে সেই অবিশ্বাস্য এবং স্বপ্নের দ্বৈরথের সাক্ষী হতে ভিড় উপচে পড়েছিল। উপলক্ষটা হপম্যান কাপ। হলই বা প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা। মিক্সড ডাবলসে লড়াই হচ্ছে, কোর্টে ফেডেরারের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সেরিনা, এ হেন ইতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী হতে কে না চাইবে!

আসল কথা, সে দিন সব চেয়ে বেশি উত্তেজিত ছিলেন রজার নিজেই। সুইস মহাতারকা এতটাই ভক্ত সেরিনার! বললেন, ‘মনে হয় সেরিনার সঙ্গে আমার খেলাটা টেনিসের সুন্দরতম ঘটনাগুলোর একটা। সারা শহর (পার‌্থ) এই ম্যাচটা নিয়ে আলোচনায় মেতেছিল। হয়তো গোটা অস্ট্রেলিয়াই।’ সে দিনের ম্যাচ প্রসঙ্গে তার আরও কথা, ‘কী সুন্দর পরিবেশে খেলেছিলাম। বিশ্বাস করুন, আমাদের মধ্যে ম্যাচের ব্যাপারটা যে চোখের সামনে ঘটছে, তা ভেবে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।’

সে দিনের সেই ম্যাচে ফেডেরারের সুইজারল্যান্ডই জিতেছিল। কিন্তু এত দিনে সুইস মহাতারকা স্বীকার করলেন, সে দিন তার নিজের মনের অবস্থাটা কী হয়েছিল, ‘মেনে নিচ্ছি, সেরিনার বিরুদ্ধে ঠিকঠাক সার্ভিসটা সে দিন করতে পারছিলাম না। নিশ্চয়ই ওর শরীর থেকে কোনও জ্যোতি বেরোচ্ছিল। বিশ্বাস করুন, এ সব মজা করে বলছি না।’

ইভান্সকে বুধবার ফেডেরার হারালেন ৭-৬ (৭-৫), ৭-৬ (৭-৩), ৬-৩ সেটে। ম্যাচ চলাকালীন একটু-আধটু বৃষ্টিও হল। তা নিয়ে আম্পায়ার মারিয়ানা ভেলোভিচের সঙ্গে অল্পসল্প তর্কেও জড়ালেন। কোর্ট ভিজে যাচ্ছিল বলে ম্যাচ চালানোর পক্ষপাতী ছিলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে এক বার বলে ফেললেন, ‘যতক্ষণ না পিছলে পড়ে কারও পা ভাঙছে, ততক্ষণ খেলে যেতেই হবে।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য অল্প সময়ের জন্য হলেও খেলা বন্ধই করতে হয় আম্পায়ারকে। তখন ম্যাচে ফেরার জন্য কার্যত প্রাণপাত করছেন ইভান্স। যদিও রজারের অভিজ্ঞতার কাছে তা শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়ে যায়। রজার অবশ্য ইভান্সের প্রশংসাই করলেন, ‘অনেক দিন থেকে ওকে চিনি। ইভান্স বেশ ভাল খেলে। ওর স্লাইস শটগুলোর তো কোনও জবাব নেই। ভাল লাগছে, তার পরেও জিততে পেরেছি ভেবে।’

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি