ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

অভিনেতা খলিলকে হারানোর আট বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১২, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ঢালিউডের জনপ্রিয় খলঅভিনেতা খলিল উল্লাহ খান। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) শক্তিমান এ অভিনেতাকে হারানোর আট বছর পূর্ণ হলো। 

২০১৪ সালের এই দিনেই পতন হয়েছিল বাংলা সিনেমার এই নক্ষত্রের। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

অভিনয় জীবনে নায়ক থেকে পার্শ্ব চরিত্র, খলঅভিনেতা কিংবা জ্যেষ্ঠ ভূমিকায় এসেও সাবলীল অভিনয়ে সমানভাবে দ্যুতি ছড়িয়েছেন ‘গুন্ডা’ খ্যাত অভিনেতা।

রূপালি জীবনে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছেন প্রায় আট শ ছবিতে। সিনেমার পাশাপাশি টিভি পর্দায়ও কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। বিটিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ মিয়ার ব্যাটা চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

খলিল ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এ কারণে সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। তবে সিলেট থেকেই নিজের শিক্ষাজীবন শেষ করেন এই অভিনেতা।

১৯৭৭-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আনসার সদস্য পদে চাকরিরত ছিলেন তিনি। পরে ১৯৫৯ সালে কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি জগতে পা রাখনে। তবে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এ ছাড়া ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।

খলিল অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘সমাপ্তি’, ‘নদের চাঁদ’, ‘পাগলা রাজা’, ‘বেইমান’, ‘অলংকার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যাবদল’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি’, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘কথা কও’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সুখে থাকো’, ‘অভিযান’, ‘কার বউ’, ‘দিদার’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব’, ‘পুনম কি রাত’, ‘উলঝান’ ইত্যাদি।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি