ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

অ্যাশেজ ট্রফি অস্ট্রেলিয়ারই রইল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অ্যাশেজের সিরিজের শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৮৫ রানে হারিয়ে ব্যবধান ২-১ করে ফেললো অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে অ্যাশেজ ট্রফিটি থেকে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই। কারণ গত অ্যাশেজও অস্ট্রেলিয়াই জিতেছিল। 

টিম পেনের দল যদি এ ম্যাচটি হারেও যেতো তাহলে সিরিজ ড্র হতো। কিন্তু ৩৮৩ রান টার্গেট দিয়ে ইংল্যান্ডকে ১৯৭ রানে থামতে বাধ্য করে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। যার ফলে পরিস্কার হয়ে যায় এই জয়ের ধারা।

শনিবার শুরুতে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন পেসার প্যাট কামিন্স। আর রবিবার শেষ দিনের শুরুতেও দু’উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে বেকায়দায় ফেলে দেন এই পেসার। বাকি কাজটুকু করেছেন হেজেলউট আর লায়ন।  দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে বিনিময়ে পেলেন চার উইকেট পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন হেজেলউড এবং নেথান লায়ন।

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জো ডেনলি সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। আর জেসন রয় করেন ৩১ রান। তবে জর্জ বাটলার-বেয়ারস্টো কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। বাটলার করেন ৩৪, বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

বল বিকৃতি কাণ্ডে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড শেষ করে মাঠে ফিরে যত বার ব্যাট হাতে নেমেছেন, তত বারই শুনতে হয়েছে ‘প্রতারক, প্রতারক’ বিদ্রুপ। কিন্তু স্মিথ কাউকে কিছু বুঝতে দেননি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছেন। আর ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট পড়ার পর পরই দু’হাত শূন্যে তুলে হুঙ্কার তুলে জবাব দিয়েছেন সবকিছুরই।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান করার জন্য স্মিথই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। এই অনুভূতি জানাতে গিয়ে স্মিথ বলেন, গত সপ্তাহে মাঠের বাইরে বসে দলের হার দেখতে ভাল লাগেনি। কিন্তু আজ যে অনুভূতি হচ্ছে, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। এই ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পেরে রীতিমতো গর্ব অনুভব করছি।

খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন বলেন, সত্যিই খুব তেতে ছিলাম জেতার জন্য। গত ১৬-১৮ মাসে এই দলটাকে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ছেলেরা যে খেলাটা খেলল, তাতে ওদের চারিত্রিক দৃঢ়তাই প্রকাশ পেয়েছে। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি