ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

একটি অসম্পূর্ণ বিচার ও ইতিহাসের দায়

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

প্রকাশিত : ১৬:৪১, ৫ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:১৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

খ্রিষ্টজন্মের আগে এবং পরে গোটা বিশ্বে যেসব নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড সেগুলোর একটি। তবে এটি অন্যসব নৃশংস হত্যা থেকে আলাদা এই অর্থে যে, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্যই এটি ঘটানো হয়নি। খুনিদের উদ্দেশ্য ছিল সেই আদর্শকে সমূলে নিঃশেষ করা, যার প্রতীক এবং প্রতিভূ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর রক্তের কোনো ধারক যেন বেঁচে না থাকে, এজন্য তাঁর ১০ বছরের শিশুসন্তানকে নির্মমতার চরম প্রকাশ দেখিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, যা কিনা নজিরবিহীন। আরেকটি ব্যতিক্রমী দিক হলো-ওই হত্যাকাণ্ডে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার তিন-তিনটি দেশ জড়িত ছিল।

বলা হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কথাটি অর্ধসত্য। এটি ঠিক যে অতীতের সরকারগুলো, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশের প্রতিষ্ঠাতার হত্যায় জড়িত ছিল, তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে বিচারহীনতার যে নজিরবিহীন নগ্ন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে অন্তত প্রত্যক্ষ বন্দুকধারীদের বিচার করে সেই নির্লজ্জ অপসংস্কৃতি উড়িয়ে দিয়েছে।

কিন্তু একটি খুনের বিচারে শুধু বন্দুক বা অন্য অস্ত্র দিয়ে যারা খুনের কাণ্ডটি ঘটায়, বিচার শুধু তাদেরই হয় না, বিচার হয় সেসব কুশীলবেরও যারা হত্যার পরিকল্পনা করে, ষড়যন্ত্র করে এবং অস্ত্রধারীদের উসকে দেয়। মূলত আইন এবং বাস্তবতার নিরিখে পর্দার অন্তরালে থাকা এসব কুশীলবের দায়ই অধিক। কেননা, তাদের চক্রান্ত, উৎসাহ ও নির্দেশ ছাড়া প্রত্যক্ষ অস্ত্রধারীরা তাদের অপরাধ সংঘটিত করতে পারে না। আর এজন্য আইনেও কিন্তু এসব কুশীলবের বিরুদ্ধে অধিকতর সাজার বিধান রয়েছে। শুধু কয়েকজন মেজর, ক্যাপ্টেনই যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামি নয়, মূল কজন রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিই ছিল আসল ইন্ধনদাতা- জাতির কাছে সে কথা অজানা নয়। আর এসব ইন্ধনদাতার পরিচয়ও জাতির কাছে স্পষ্ট। এই স্পষ্টতা বেরিয়ে এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় বিভিন্ন জনের সাক্ষ্য ছাড়াও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ থেকে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় অন্তত তিনজনের সাক্ষ্য যথা: কর্নেল হামিদ, কর্নেল সাফায়েত জামিল, জেনারেল শফিউল্লাহর সাক্ষ্য থেকে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয় যে, এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে খুনি মোশতাক এবং খুনি জিয়ার প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল। কর্নেল হামিদের সাক্ষ্য প্রমাণ করেছে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে খুনি ডালিম এবং নূর খুনি জিয়ার সঙ্গে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায়ই একত্রে সময় কাটিয়েছে। খুনি ফারুক এবং রশিদ ছাড়াও অন্য আসামিরা যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, তা থেকেও খুনি জিয়ার সম্পৃক্ততা পরিষ্কার। খুনি ফরুক-রশিদ শুধু লন্ডনের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারেই নয়, বরং ১৯৭৬ সালের ৩০ মে লন্ডনের প্রখ্যাত সানডে টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে খুনি ফারুক পরিষ্কার ভাষায় প্রকাশ করেছে যে, তারা বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনা নিয়ে উপসামরিক প্রধান খুনি জিয়ার বাড়ি গেলে খুনি জিয়া তাদের বলেছিল চালিয়ে যেতে। অথচ জিয়ার আইনি দায়িত্ব ছিল তাদের পুলিশে দেওয়া। জিয়া সেদিন তাদের পুলিশে দিলে, আজ ইতিহাস অন্যরকম হতো। সেদিন ফারুক-রশিদকে পুলিশে না দিয়ে জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছিল, যার সাজা মৃত্যুদণ্ড।

জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী, এক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল তার বই ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য’তে লিখেছেন, তিনি জিয়ার বাড়িতে মেজর ফারুককে দেখে হতভম্ভ হয়েছিলেন এবং জিয়াও এর সদুত্তর দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি ডালিমসহ অন্য খুনিরা লিখা এবং বলার মাধ্যমেও প্রকাশ করেছে যে, হত্যাকাণ্ডে তাদের মূল অপশক্তি ছিল খুনি জিয়া। ২০২০ সালে সর্বশেষ ধরা পরা খুনি মাজেদ তার ফাঁসির আগে দেয়া বিবৃতিতে একাধিকবার বলেছে যে, হত্যাকাণ্ডের মূল ক্রীড়নক ছিল জিয়াউর রহমান। বিশেষ করে খুনি মোশতাকের সঙ্গে যে খুনি শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুর রহমান, চাষী, তাহের ঠাকুর, মোমেন খান, সাফদার, জেনারেল শিশুসহ অন্যরাও জড়িত ছিল, সে কথাও বিভিন্ন সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু জাতির জন্য চরম দুঃখের কথা হলো এই যে, এসব পর্দার আড়ালের খুনির বিচার হয়নি। যে কলঙ্ক আজও জাতি বয়ে বেড়াচ্ছে, যার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে অসম্পূর্ণ বিচার বৈ কিছু বলা যায় না।

খুনি মোশতাকের বিরুদ্ধে অভিযোগনামা ছিল; কিন্তু তার মৃত্যুর পর তাকে অভিযোগমুক্ত করতে হয়েছিল, কেননা আমাদের আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের বিধান নেই। একই কারণে খুনি জিয়া, খুনি চাষী, খুনি মোমেন খানসহ অন্য খুনিরাও মরে বেঁচে গেছে। কিন্তু জীবিত থেকেও কীভাবে খুনি তাহের ঠাকুর, তার বিরুদ্ধে অঢেল সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও বেকসুর খালাস পেল এবং কীভাবে হাই কোর্ট বঙ্গবন্ধু খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী, খুনি রশিদের খুনি স্ত্রী মেহনাজ রশিদকে খালাশ দিলেন- এগুলো কিন্তু গবেষণার বিষয়। মেহনাজ রশিদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অকাট্য সাক্ষ্য ছিল যে, সে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পরই বঙ্গভবনে যে সভা ডেকেছিল খুনিরা, সে সভায় যে অন্যতম মুখ্য ভূমিকায় ছিল সেই খুনি মেহনাজ রশিদ, তার ভূরি ভূরি সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল। এরপরও কীভাবে তাকে হাই কোর্ট মুক্তি দিলেন, একজন আইনজ্ঞ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে আমি তা বুঝতে অক্ষম। মুক্তির পরই মেহনাজ রশিদ পাকিস্তানে গিয়ে বর্তমান পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সেখানে থেকে বাংলাদেশবিরোধী কাজে ব্যস্ত।

যারা মরে বেঁচে গেল, তাদের কী করা যায়- এ প্রশ্ন সবার। ১৬৪৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ওলিভার ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে ব্রিটিশ রাজা প্রথম চার্লসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ক্রমওয়েল ৬ বছর ইংল্যান্ড শাসনের পর ১৬৬০ সালে সে দেশে পুনরায় দ্বিতীয় চার্লসের নেতৃত্বে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ক্রমওয়েলের মৃত কঙ্কাল তার কবর থেকে তুলে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল প্রথম চার্লসকে হত্যার অপরাধে। বর্তমান ইংল্যান্ডেও এখন সেটি সম্ভব নয়। তবে খুনি জিয়া এবং খুনি মোশতাকের কঙ্কাল (যদি থেকে থাকে?) কবর থেকে তুলে ফাঁসিতে ঝোলানো হলে জনগণের এক বিরাট অংশ উৎফুল্ল হতো বৈকি? যাই হোক, এখন এসব পর্দার অন্তরালে থাকা কুশীলবদের যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ব্যাপারে কী করা উচিত, এ বিষয়ে বিজ্ঞজনদের মতামত হচ্ছে- অতি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা, যা কিনা এসব পর্দার আড়ালের খুনিদের চিহ্নিত করবে এবং তাদের সম্পৃক্ততা যাচাই করবে। এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী মহোদয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক ঘোষণা দিয়েছেন; কিন্তু করোনা মহামারির জন্য এ পরিকল্পনা এগোচ্ছে না।

আমরা সবাই জানি পর্দার অন্তরালের খুনি কারা। কিন্তু এ ব্যাপারে একটি দাপ্তরিক দলিল না থাকলে তা আইনি স্বীকৃতি পাবে না। তাই সেই কমিশন তাদের প্রতিবেদনে যা লিখবে, সেটিই চিরকালের জন্য একটি অমূল্য আইনি দলিল হয়ে থাকবে, যার দ্বারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যুগ যুগ ধরে জানবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা পর্দার আড়ালের খুনি কারা এবং আজ যেমন আমরা মীরজাফর, জগৎশেঠ, উমিচাঁদ, রাজবল্লব, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগম, মিরান প্রমুখকে ঘৃণা করি, ভবিষ্যতেও যুগ যুগ ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসব পর্দার পেছনের খুনিদের ঘৃণাভরে দেখবে। দেশের মাননীয় সাবেক প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম সাহেব পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে খুনি জিয়া, খুনি মোশতাক ও বিচারপতি সায়েমের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তার রায়ে লিখেছেন, এসব ক্ষমতা জবরদখলদাররা দেশদ্রোহী, এদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখা উচিত।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম একজন অতি ঠাণ্ডা মাথার, ঠাণ্ডা চিন্তার লোক, একজন ব্যতিক্রমী ভদ্রলোক হিসেবে যার সুনাম রয়েছে। তিনিও জিয়া, মোশতাক ও সায়েম সম্পর্কে এ কথা লিখেছেন। মাননীয় প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম এবং মাননীয় বিচারপতি (সে সময়ের) খায়রুল হক তাদের রায়ে ক্ষমতার জবরদখলদারদের ব্যাপারে যা বলেছেন, তা বাস্তবায়নের জন্যই এই কমিশন অত্যাবশ্যকীয়। আর তা হওয়া উচিত অনতিবিলম্বে। 

২০১২ সালে তাহের হত্যা মামলার রায়ে এই ধরনের কমিশন গঠনের নির্দেশনা ছিল। কেননা, নেপথ্যের খুনিদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে পারেন এমন অনেকেরই এরই মধ্যে প্রয়াণ হয়েছে, বাকিরাও বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে, তাঁদের স্মৃতিও ম্লান হতে পারে সময়ের ব্যবধানে। খুনি জিয়া মুক্তিযুদ্ধকালে আসলে কী করছিল, সেটিও এখনো অনিশ্চিত। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের প্রখ্যাত ডন পত্রিকায় এক সংবাদ ছাপা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৯ মে কর্নেল বেগ নামে পাকিস্তান সেনা গোয়েন্দা আইএসআইর এক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে লিখেছিলেন, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জিয়ার কর্মকাণ্ডে খুব খুশি এবং তাকে ভবিষ্যতে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের যত্ন সহকারে রাখা হবে। এই খবর থেকে প্রশ্ন উঠেছে, খুনি জিয়া আসলে একাত্তর সালে কাদের সঙ্গে কাজ করেছিল। তদন্ত কমিশন সে দিকটিও তদন্তে আনতে পারবে।

কমিশনে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা ছাড়াও খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদের মৃত্যুপূর্ব বিবৃতিকেও বিবেচনায় নিতে পারবেন। সাক্ষ্য আইনে ডাইয়িং ডিক্লারেশন তত্ত্ব অনুযায়ী, যাকে সাক্ষ্য আইনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তদুপরি খুনি ডালিম প্রমুখদের লেখনী এবং সাক্ষাৎকারসমূহও বিবেচনায় নেওয়া যাবে, সাক্ষ্য নেওয়া যাবে জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী, যিনি তার বই ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য’তে লিখেছেন তিনি জিয়ার বাড়িতে মেজর ফারুককে দেখে অবাক হয়েছিলেন, জিয়াকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেও সদুত্তর পাননি।

ব্যারিস্টার মওদুদ যেহেতু আর নেই, তার লেখনীও সাক্ষ্য আইনের বিধান বলে সাক্ষীতে নেওয়া যাবে, যে বইতে ব্যারিস্টার মওদুদ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়ার যোগসাজশ ছিল। জিয়ার আরেক ঘনিষ্ঠজন ক্যাপ্টেন নুরুল হক তার বই, ‘হাই টাইড, হাই টাইম’-এ যা লিখেছেন খুনি জিয়ার কার্যকলাপ নিয়ে, তাও সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে, সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে ১৯৭১ সালের ২৫/২৬ মার্চ জিয়া যে পাকিস্তানি অস্ত্র খালাস করতে এগোচ্ছিলেন সে ব্যাপারে মেজর রফিক, এমনকি কর্নেল অলির সাক্ষ্য।
 
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাঘা সিদ্দিকী সীমান্ত পার হয়েছিলেন খুনিদের শিক্ষা দিতে, যাদের মধ্যে নিশ্চিতভাবে খুনি জিয়া ছিল প্রথম তালিকায়। এ ব্যাপারে তিনি বলতে পারবেন তিনি কাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নেয়ার জন্য সেদিন ভারত গিয়েছিলেন? তাছাড়া এই কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান, চীন এবং নিক্সন-কিসিঞ্জারের ভূমিকাও তদন্ত করতে পারবে, মার্কিন সরকারের সেসব তথ্য যাচাই করে, যা অতীতে গোপনীয় থাকলেও এখন প্রকাশ করা হয়েছে, বিবেচনায় নিতে পারবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পত্রপত্রিকার খবর।

এভাবে সাক্ষ্যের অভাব হবে না। কমিশনে একাধিক সদস্য থাকা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর ঋণ পরিশোধে, জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে আমাদের এই কমিশন গঠন এবং নেপথোর খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের কাজটি করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। ইতিহাসের এই দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ আমাদের নেই।

লেখক: আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি