ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফের জয়ের স্বাদ নিয়েই ছুটিতে বিশ্বজয়ী যুবারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪২, ১৬ মার্চ ২০২০

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের একটি দৃশ্য

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের একটি দৃশ্য

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের জয়জয়কার চলছেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পর এবার ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে দিয়েছে টাইগার যুবারা। আজ (১৬ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইন পুকুরের হয়ে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে জিতেছে তানজিদ-তাওহিদরা।

আর এমনই এক জয়ের স্বাদ নিয়েই অপ্রত্যাশিত ছুটি কাটাতে ঘরে ফিরছে বিশ্বকাপজয়ীরা। কারণ, সেই মরণঘাতি করোনা ভাইরাস। যার প্রভাবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এক রাউন্ড হতেই স্থগিত হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ক্রিকেটাররাও পেয়ে গেছেন অপ্রত্যাশিত এক ছুটি। 

এদিকে, আজ দ্বিতীয় দিনের অপর দুটি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর গাজী গ্রুপকে ৯ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর মেহেদী হাসান মিরাজদের খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির বিপক্ষে ৫৫ রানের জয় পেয়েছে দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে খেলতে নামা দুই বন্ধু মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাশরাফির শেখ জামাল।

এদিন সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল মোহামেডান। কিন্তু একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছে ঐতিহ্যবাহী এ দলটির টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। দলীয় ইনিংস গড়ার কঠিন কাজটা সবাই সামলে নিলেও ব্যক্তিগত ইনিংসকে বড় করতে পারেননি কেউই। 

পুরো ইনিংসেই দলটির স্কোরে পাঁচের বেশি রেটে রান উঠলেও কেউ এক প্রান্ত আগলে রাখতে না পারায় অন্য প্রান্তে ব্যাটে ঝড় তোলা হয়নি কারও। সর্বোচ্চ স্কোর করেন পাঁচে নামা মাহমুদুল হাসান (৫৮)। তার আগে নামা চারজনের স্কোর যথাক্রমে ২৯, ৪২, ৪৬ ও ২৫। 

পরে সাতে নেমে শুভাগত হোম ২৫ বলে ৩১ রান করলে ৮ উইকেটে ২৫৭ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। শাইন পুকুরের পক্ষে মোহর শেখ ও তানভীর ইসলাম ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

জবাব দিতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন যুব বিশ্বকাপে চমক দেখানো তানজিদ হাসান তামিম। টানা দুটি পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন এই জুনিয়র। ৭৭ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের বিদায়ের পর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন রবিউল ইসলাম ও তাওহিদ হৃদয়। রবিউলের ৫১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে চড়ে জয় একেবারে হাতের নাগালে এনে দিচ্ছিল শাইন পুকুরকে। 

তবে ১৬০ রানে রবিউল যখন ফেরেন, ১৮ ওভারে দলের তখন দরকার ৯৮ রান। যা শেষ হয়ে যেত আগেই, কিন্তু তাওহিদ হৃদয় একটু ধীরে ব্যাট করায় শেষ ওভারে গড়িয়েছে ম্যাচটা। ৭৯ বলে ৫০ করা হৃদয়ের পর ৪৭ বলে ৪৯ রান করা মাহিদুল অঙ্কনও আউট হয়েছেন ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে। বাকি ১১ রান নিতে অবশ্য ৫ বল লেগেছে সাজ্জাদুল হক ও রবিউল হকের। 

যাতে ৩ বল বাকী থাকতেই পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুবারা। মোহামেডানের পক্ষে আবু জায়েদ, আবু হায়দার, আব্দুর রাজ্জাক ও মাহমুদুল হাসান একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এদিকে, মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দুই ওপেনার। তবে তামিম ইকবাল (১৯) ও এনামুল হক বিজয়ের (০) ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছেন রনি তালুকদার। তার ৭৯ রানের ইনিংসের পর নাহিদুল (৫৩*) ও নাঈম হাসানের (৪৬*) দুটো দ্রুতগতির ইনিংস ২৫১ রানের সংগ্রহ এনে দেয় প্রাইমকে। 

রান তাড়ায় নেমে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিলেন গাজী গ্রুপের সৌম্য সরকার। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। তার ৫১ বলে ৪৯ রানের ইনিংসের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহই যা একটু চেষ্টা করেন। তবে তা ছিল সবচেয়ে ধীরগতির (৬০ বলে ৩২ রান)। 

যে কারণে আটে নামা মেহেদী হাসানের ৪৯ বলে ৫৬ রানও দলকে জয় এনে দিতে পারেনি। এছাড়া ২৮ বলে ৩১ রান করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। ফলে ৯ উইকেটে ২৪২ তোলা গাজীকে মাত্র ৮ রানেই হারতে হয়। প্রাইমের পক্ষে মুস্তাফিজুর, নাহিদুল ও অলক কাপালি ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

অন্যদিকে, বিকেএসপিতে এক আশরাফুল (৩) ছাড়া ভালো করেছেন শেখ জামালের টপ অর্ডারের সবাই। সৈকত আলীর ঝড়ো শুরুর (৭৯ বলে ৮৩) পর বাকি কাজটা করেছেন নাসির হোসেন (৫৬) ও নুরুল হাসান (৫৮)। যাতে ৯ উইকেটে ২৭৬ রানের পুঁজি পায় ধানমন্ডির ক্লাবটি। খেলাঘরের হয়ে একাই ৪টি উইকেট তুলে নেন তরুণ ইরফান হোসাইন।

পরে ২৭৭ রানের লক্ষ্যে নেমে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন খেলাঘরের অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি। শেখ জামালের তিন স্পিনার সোহরাওয়ার্দি শুভ, ইলিয়াস সানি ও সালাউদ্দিন সাকিলের ঘূর্ণির মুখে তার ৭৮ বলে ৫১ রান ছাড়া দলের বাকিদের অবস্থা একেবারেই ছিল হতাশজনক। যাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানে থেমেছে খেলাঘর। হেরেছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানেই।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি