বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বেতারে প্রচার না হওয়ায় একযোগে ফুঁসে ওঠে বাঙালি জনতা
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ৮ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৫:১৯, ৮ মার্চ ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পরদিন ৮ মার্চ ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ বিক্ষোভের দিন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বেতারে প্রচার না হওয়ায় একযোগে ফুঁসে ওঠে বাঙালি জনতা। মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তঃসলিলা ছন্দে-ছন্দে পৌঁছে যায় বীর বাঙালির রন্ধ্রে-রন্ধ্রে।
প্রতিবাদী জনসমুদ্রের পাশাপাশি ৮ই মার্চ ফুঁসে ওঠে দেশের প্রান্তে-তেপান্তরে বসবাসকারী বাঙালি সত্ত্বা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অমোঘ নির্দেশ যেন আর সব মারনাস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠে মুক্তিকামীদের কাছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক ও সংগ্রামের আহ্বানে পাল্টে যায় বাংলার চিত্র।
৭ই মার্চের ভাষণ রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার না করায় পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে বেতার কর্মীরাও। এ’দিন তা প্রচার করতেও বাধ্য হয় হানাদারগোষ্ঠী। ব্রিটেনে পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে স্বাধীন বাংলার দাবিতে বিক্ষোভ করেন প্রবাসীরা।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় স্তম্ভিত সামরিক জান্তা শেষতক শেখ মুজিবুর রহমানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বানিয়ে স্বাধীনতার আন্দোলন ভন্ডুলের চেষ্টা করেন। আঁটতে থাকে নতুন নতুন ফন্দি আর নীল নকশা। ততোক্ষণে রেডিও পাকিস্তানের নাম পাল্টে হয়ে যায় ঢাকা বেতার।
এভাবেই দিন যতোই পেরুচ্ছিল ততোই ক্ষুব্ধ জনতা পাকিস্তানী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
আরও পড়ুন