ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ বাড়ছেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৮, ৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৪, ২৬ মে ২০১৮

সমগ্র পৃথিবীতে ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫শরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত গ্রুপগুলোর এক তথ্যে তা উঠে এসেছে। তাদের দাবি  সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হবার ঘটনা ক্রমশ:ই বাড়ছে।

এদিকে  মে মাসের ৩ তারিখ বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন আইএফজে এবং অন্যান্য সংগঠন। সংগঠনটি বলছে, ২০১৮ সালে এ পর্যন্ত মোট ৩২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

মিডিয়া অধিকার সংগঠনগুলো ১৯৯০এর দশক থেকে এ পর্যন্ত যে সাংবাদিকরা নিহত, আটক বা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে। তাদের জরিপের মধ্যে মিডিয়া কর্মী, সাংবাদিকদের যোগাযোগকর্মী, অনুবাদক, গাড়িচালক - এরাও আছেন।

আইএফজে বলছে, গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম - ৮২ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে ২০১৭ সালে। এর মধ্যে মেক্সিকোতে ১৩ জন, আফগানিস্তানে ১২ জন, ইরাকে ১১ জন আর সিরিয়াতে ১০ জন নিহত হন। বাংলাদেশ নিহত হয়েছেন একজন।, ভারতে ৬ জন।

দু হাজার তিন সালে ইরাক যুদ্ধের সময় থেকে সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। ২০০৬ সালে ১৫৫ জন আর ২০০৭ সালে ১৩৫ জন সাংবাদিক নিহত হন।

এ ছাড়া ২০১২ সালের পর কয়েকজন বিদেশী সাংবাদিকের অপহরণ এবং শিরশ্ছেদের ঘটনার পর সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো বিপজ্জনক এলাকায় সংবাদদাতা পাঠানো কমিয়ে দেয়। এ কারণে এই সময় থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরাই বেশি আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

যুদ্ধ চলছে না এমন দেশগুলোর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ছিল ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং মেক্সিকো।

আইএফজের কর্মকর্তা আর্নেস্ট সাগাগা বলছেন, আফগানিস্তান ও মেক্সিকোর সশস্ত্র গ্রুপগুলোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পার্থক্য আছে - কিন্তু সাংবাদিকদের আক্রমণ ও দমনের ক্ষেত্রে তাদের নীতির কোন পার্থক্য নেই।

"কখনো কখনো তারা বন্দুকধারী বা খুনি ভাড়া করে, কিন্তু আসল ঘাতক, যে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে সে সবসময়ই বিচারের বাইরে রয়ে যাচ্ছে।"

গত প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক কারাবন্দী হয়েছেন ২০১৭ সালে - মোট ২৬২ জন। সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক কারাবন্দী হয়েছেন তুরস্কে ৭২ জন, চীনে ৪১ জন আর মিশরে ২০ জন।

সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রাখা এবং ভীতি প্রদর্শনের জন্য সব সময়ই তাদের জেলে পাঠানোকে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে - বলেন সাগাগা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএইচ/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি