ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

বেগমগঞ্জের ঘটনায় নতুন মোড়, বাবাকে দায়ী করলেন নির্যাতিতার মেয়ে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:৫১, ৭ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ২১:৪৪, ৭ অক্টোবর ২০২০

বেগমগঞ্জে নির্যাতিতার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস প্রেমা।

বেগমগঞ্জে নির্যাতিতার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস প্রেমা।

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে গৃহবধূকে বর্বরোচিত নির্যাতন করার ঘটনায় এবার নিজের বাবাকে দায়ী করলেন নির্যাতিতার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস প্রেমা। আজ বুধবার দুপুরে এই বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিন বছর আগে নোয়াখালী পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের জহির উদ্দিন বাবরের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রেমার। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

কান্নারত অবস্থায় নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার বাবার (মোঃ সুমন) সম্পূক্ততা আছে কিনা তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ আমার মায়ের সঙ্গে সন্ত্রাসীরা যে আচরণ করেছে, তখন আমার বাবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো। ইচ্ছে করলে তিনি আশপাশের লোকজনকে চিৎকার করে ডাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ ঐ রাতে সন্ত্রাসীদেরকে ১৫শ টাকা দিয়ে আমার বাবাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় আমার মেজো চাচা। 

প্রেমা অভিযোগ তুলে বলেন, ওই রাতে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ঘটনায় আমার বাবা হয়তো ভয়ে রাতে কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু পরের দিন তো এলাকার লোকজনকে জানাতে পারতো! চেয়ারম্যান, মেম্বার বা থানা পুলিশের আশ্রয় নিতে পারতো। কিন্তু তিনি এই ব্যাপারে কোনোরূপ পদক্ষেপ নেননি। 

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমাদের দুই ভাই বোনকে রেখে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আজ থেকে ১২ বছর আগে আমাদের রেখে চলে যায়। ১২ বছর পর বাবা যে রাতে আমার মায়ের কাছে ফিরে আসে সে রাতেই কেনো এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটলো?

নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, গত কয়েক বছর থেকে আমার মায়ের কাছে বাবা টাকা চায়। ঐ সন্ত্রাসীরাও টাকা চায়। মাঝে মধ্যে বাবা আমার কাছেও টাকা চায়। সবার এতো টাকা চাওয়ার রহস্য কী? আমার মা তো এতো ইনকাম করে না। তাই আমি চাই, অধিকতর তদন্ত করে আমার বাবা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। প্রমাণিত হলে তারও উপযুক্ত বিচার হোক।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি