ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাজিলের দুঃস্বপ্নময় রাতে আর্জেন্টিনার গোলোৎসব

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২২:২২, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২২:৫১, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা এমন করে উৎসবে মেতেছে ছ`বার।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা এমন করে উৎসবে মেতেছে ছ`বার।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয়বঞ্চিত ড্র করার পাশাপাশি নেইমারের ইনজুরিতে বলা যায়, দুঃস্বপ্নময় এক রাতই কাটলো ল্যাতিন আমেরিকার ফুটবল জায়ান্ট ব্রাজিলের। তবে ব্রাজিলের এই বেদনাময় রাতে রীতিমত গোল উৎসবে মেতেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশি দেশ আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে মেসিহীন দলটি। 

ব্রাজিলের এহেন খেলা দেখে সমালোচকরা বলতে শুরু করেছেন, কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণই কি তাহলে কাল হয়ে দাঁড়ালো? অনেকে এর জবাবে বলছেন, তা নয় তো কী! শিরোপা জিতে যে বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিল! কেননা, টুর্নামেন্ট পরবর্তী চার ম্যাচের একটিতেও যে জিততে পারল না সেলেকাওরা।

এর আগের প্রদর্শনী ম্যাচটায় ব্রাজিলকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল আফ্রিকান স্নেক সেনেগাল। আর আজ (রোববার) দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচেও সেই একই দুঃস্বপ্ন। ফলটাও একই। শুধু প্রতিপক্ষ সেনগালের বদলে আরেক আফ্রিকান জায়ান্ট সুপার ঈগল খ্যাত নাইজেরিয়া।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল। খেলার ১২ মিনিটের সময় ইনজুরিতে পড়েন প্রাণভোমরা নেইমার। চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান সেলেকাও তারকা। আশঙ্কা করা হচ্ছে- কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে কাটিয়ে দিতে হবে পিএসজি স্ট্রাইকারকে।


 
নেইমারকে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আসে নতুন বিপর্যয়। ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই গোল হজম করতে হয় ব্রাজিলকে। ওই সময় সেলেকাওদের জাল কাঁপিয়ে নাইজেরিয়াকে উচ্ছ্বাসে ভাসান জো আরিবো। এই এক গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে আফ্রিকান ঈগলরা।

ব্রাজিল অবশ্য খেলায় ফিরতে সময় নেয়নি। প্রত্যাবর্তন করেছে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই। ৪৮ মিনিটে পাঁচবারের বিশ্বসেরাদের সমতায় ফেরান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরা। ম্যাচের বাকি সময়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেও কোনও দল দ্বিতীয়বার গোলমুখ খুলতে না পারায় অস্বস্তির আরেকটি ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তিতের দলকে। 

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞায় থাকা মেসিকে ছাড়াই ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। তবে মোটেও হতাশ করেননি স্কোলানির শিষ্যরা। উল্টো প্রতিপক্ষকে রীতিমত গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে। 

এদিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করে আর্জেন্টিনা। যার ফল পেতে শুরু করে ২০তম মিনিট থেকেই। এসময়ে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দলকে প্রথম লিড এনে দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুকাস আলারিও। এরপর ২৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার এস্পিনোজা ইসকুইয়ার্ডোর আত্মঘাতী গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আকাশি-সাদারা।

এরপর ৩২ মিনিটে উইঙ্গার লিয়ানড্রো প্যারেডেস এর গোলে ব্যবধান তিন গুণ করে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। তবে ৪৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান ইকুয়েডর তারকা এঞ্জেল মেনা। যদিও খেলার পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষকে আর কোন সুযোগ না দিয়ে ৬৬, ৮২ ও ৮৬ মিনিটে আরও তিনটি গোল করে সমর্থকদের উৎসবে মাতান জার্মান পেজ্জেলা, নিকোলাস ডোমিঙ্গুয়েজ ও লুকাস ওকাম্পোস। যাতে ইকুয়েডরকে ৬-১ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দেন স্কোলানির শিষ্যরা।

আর্জেন্টিনার এই গোল উৎসবের মাঝে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় খেলাটি। ইকুয়েডর ১৮টি এবং আর্জেন্টিনাও পাল্লা দিয়ে ১৫টি ফাউল করে ম্যাচটিতে। যার ফলে উভয় দলেই দুটি করে মোট চারটি হলুদ কার্ড দেখেন চার খেলোয়াড়। 
 
এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি