ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ১২ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১০:৩৪, ১২ মার্চ ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধে সালদা, আখাউড়া, গঙ্গাসাগর ও মোগড়া এলাকা ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম রণাঙ্গক্ষেত্র । এখানেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল। এই বীরযোদ্ধা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দরুইন গ্রামে। তবে এখানে কোন স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
২৫ মার্চের পরপরই কুমিল্লা সেনানিবাসের ৪র্থ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট মেজর সাফায়াত জামিল এর নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহী দলের একটি অংশকে আখাউড়া এলাকায় পাকিস্তানী বাহিনীকে প্রতিরোধের দায়িত্ব দেয়া হয়। দরুইন গ্রামে গঙ্গাসাগর প্রতিরক্ষা অবস্থানে ২নং প্লাটুনের একজন সেকশন কমান্ডার ছিলেন সিপাহী মোস্তফা কামাল।
১৮ এপ্রিল সকালে পাকিস্তানী সেনারা দরুইন গ্রামের কাছে পৌঁছে যায়। মোস্তফা কামালের কাভারিং ফায়ারের সহায়তায় তাঁর সহযোদ্ধারা নিরাপদ স্থানে সরে যান। কিন্তু আহত মোস্তফা কামালকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানী সেনারা।
তাঁর শাহাদাতের স্থানের পাশেই সমাহিত করা হয় মোস্তফা কামালকে।
বর্তমানে বেহাল দশায় পড়ে আছে সমাধিস্থলে যাবার রাস্তাটি। অনাদরে অবহেলায় বিবর্ণ হয়ে পড়ে আছে সমাধিস্থল।
তবে, ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
শহীদ মোস্তফা কামালের স্মৃতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ- প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর।
আরও পড়ুন