ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

ভারতের ক্লাবকে হারিয়ে আবাহনীর ইতিহাস

প্রকাশিত : ২০:৩৬, ২৬ জুন ২০১৯

এএফসি কাপের নকআউট পর্বে উঠে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব আবাহনী লিমিটেড। বুধবার ভারতের গুয়াহাটিতে আবাহনী ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক মিনারভা পাঞ্জাবকে। এই জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে `ই` গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছে আকাশি-হলুদরা।

বুধবার ভারতের গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের মিনারভাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। ম্যাচের ৯০+৩ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন আবাহনীর আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি।

এ সময় কর্নার পায় আবাহনী। কর্নার কিক থেকে নাবীব নেওয়াজ জীবনের নেওয়া শটে ডি বক্সের ভেতরে ডানপাশ থেকে হেড নেন কেরভেন্স বেলফোর্ট। তার হেড থেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থাকা সাইঘানি বল পেয়ে যান। তিনিও হেড নেন। মিনারভা পাঞ্জাবের গোলরক্ষক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল তার গন্তব্যে আশ্রয় নেয়। উল্লাসে মেতে ওঠে আবাহনী শিবির। সাইঘানি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শুকরিয়া আদায় করেন।

৬ ম্যাচের ৪টিতে জিতে, ১টিতে ড্র করে ও ১টিতে হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্রথম কোনো বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখালো আবাহনী। ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের প্লে-অফে আবাহনীর প্রতিপক্ষ আগের আসরের রানার্স-আপ ও তুর্কমেনিস্তান চ্যাম্পিয়ন আলতিন আসির।

এই ম্যাচে মাঠ নামার আগে আবাহনীর সামনে সমীকরণ ছিল জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো পরের রাউন্ডে যেতে পারবে। তবে কাজটা কঠিন ছিল। কারণ, শেষ ম্যাচটি যে ভারতের শক্তিশালী ক্লাব মিনারভা পাঞ্জাবের ঘরের মাঠে। তাদের মাঠে তাদের হারিয়ে দেওয়াটা সহজ হবে না।

অবশ্য জয়টা সহজে আসেনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধেও জালের নাগাল পায় না দেশসেরা ক্লাবটি। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ে গিয়ে গেরো খুঁলে। তাতে নতুন এক ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের ক্লাবটি। নাম লেখায় ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল প্লে-অফে।

যদিও ভিসা জটিলতায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি আবাহনীর সেরা স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা। তার অভাব টের পেলেও সাইঘানি আবাহনীকে উল্লাসে ভাসিয়েছেন অন্তিম মুহূর্তে।

এবার অবশ্য এএফসি কাপের শুরু থেকেই দারুণ খেলেছে আবাহনী। ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয়। এরপর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের ক্লাব মিনারভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র করে।

৩০ এপ্রিল তৃতীয় ম্যাচের ভারতের চেন্নাইন এফসির বিপক্ষে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হার মানে। ১৫ মে অবশ্য সেই হারের বদলা নেয় মামুনুল-সানডে সিজোবারা। চেন্নাইনকে হারিয়ে দেয় ৩-২ গোলে। ১৯ জুন ঘরের মাঠে নেপালের ক্লাব মানাং মার্সিয়াংদিকে ফিরতি ম্যাচে উড়িয়ে দেয় ৫-০ গোলে। তাতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন বড় হয়ে দেখা দেয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যায় গ্রুপের শীর্ষে।

শেষ ম্যাচে আজ বুধবার মিনারভা পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয়।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি