ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

মুশফিক-মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৪, ১১ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩১, ১২ নভেম্বর ২০১৮

 

মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। আজ রোববার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ২৬ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। আর সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি মুশফিক ও মুমিনুল হক। তাদের ব্যাটিং দাপটে দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০৩ রান।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানে জার্ভিসের বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া ইমরুলের সঙ্গে যোগ দেন মুমিনুল হক।

জার্ভিসের দ্বিতীয় শিকার হন অপর ওপেনার লিটন দাস। ইনিংস বড় করার সুযোগ পেয়েও মাত্র ৯ রান করে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মাভুতার হাতে। ৩ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। অভিষেক টেস্টে মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাট হাতে এমন সময় নামলেন, যখন বাংলাদেশ দল মহাবিপদে। কিন্তু শূন্য রানে আউট হয়ে দলের বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে দিলেন মিঠুন। ত্রিপানোর বলে তিনি ব্রেন্ডন টেইলরের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দলের এমন বিপদের মুহূর্তে হাল ধরেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটিতে একশ পার করে বাংলাদেশ। ৯২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। তাদের জুটি শতরান ছাড়িয়ে যায়। কঠিন সময় পার করে সাবলীল খেলতে থাকেন দুজন। এর মাঝেই ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

মুমিনুলের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে মুশফিক খেলেন ১৮৭ বল। দলকে সুবিধাজক অবস্থানে রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুমিনুল হক। তার ২৪৭ বলে ১৬১ রানের অসাধারণ ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি। চাতারার বলে ব্রায়ান চারির তালুবন্দি হয়ে মুমিনুল যখন প্যাভিলিয়নে ফিরেন, বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ২৯২ রান। তার বিদায়ের সঙ্গেই ভাঙল ২৬৬ রানের দুর্দান্ত চতুর্থ উইকেট জুটি।

দিনের তখন বাকী ছিল ৬ ওভার। তাই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে উইকেটে আসেন `নাইটওয়াচম্যান` তাইজুল ইসলাম। কিন্তু টিকতে পারেননি। ৪ রান করে জার্ভিসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। রিভিউ জিতে তাইজুলকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। দিনের বাকী সময়টা দুই ভায়রা-ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিরাপদে কাটিয়ে দেন। জার্ভিস নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন চাতারা এবং ত্রিপানো। মুশফিক ১১১* এবং মাহমুদউল্লাহ ০* রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুস্তাফিজুর রহমান।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি