ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

যে কারণে বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ২৫ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪১, ২৫ মে ২০১৯

বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী ৩০ মে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসরের। তবে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটি লড়বে ২ জুন ওভালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

আসন্ন এ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দলগুলো নিজেদের মেলে ধরার অপেক্ষায়। ইতিমধ্যে ১০ দলের প্রত্যেকেই পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ডে। চারবার বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া অভিজ্ঞ টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা দলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

মাশরাফি বলেন, খুব সম্ভবত আমাদের এই দলটি এখন পর্যন্ত সেরা দল। আমাদের দলের ভারসাম্য দারুণ। আমাদের কিছু তরুণ ভালো খেলয়োড় রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে অনেক আশাবাদী।

নড়াই এক্সপ্রেস বলেন, আমাদের দলে সিনিয়র-জুনিয়র খেলোয়াড়ের মিশ্রন রয়েছে। তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছে। পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। কদিন আগেই আমরা আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছি। তাই বিশ্বকাপে আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী।

নিজেদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কথাও তুলে ধরেন টাইগারদের অধিনায়ক। গত চার বছরে বাংলাদেশ আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া এবারের ফেভারিট দলগুলোর শীর্ষে ইংল্যান্ড, ভারত আর অস্ট্রেলিয়া। তবে ফেভারিট হলেই যে তারা শিরোপা জিতবে এমনটা মনে করেন না সাকিব আল হাসান। অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাটিং, বোলিংয়ে অনেক শক্তিশালী। তাই বাংলাদেশের জন্য এবারের বিশ্বকাপ জয়ের দারুন সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব মনে করেন, যে কোনও দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। ভারত-ইংল্যান্ড অবশ্যই ফেভারিট। তবে ফেভারিট হলেই শিরোপা পাওয়া যায় না। এ জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়।

সাকিব বলেন, অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ভালো খেলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সঠিক সময়ে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে। সত্যি কথা বলতে, সব দলই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। বিষয়টি নির্ভর করবে কোন দিন কে কেমন খেলে তার ওপর।

টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের আরও অনেক কারণ রয়েছে। কারণ অনেক দিক থেকেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ ছিল চমক জাগানিয়া। তবে আলো ঝলমলে আসরের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ছিল পাকিস্তান। ওই আসরে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে শিরোপা জিতেছিল ইমরান খানের দল, তা চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে ক্রিকেটীয় রূপকথায়।

বিদায়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচ থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।

এছাড়া, ক্রিকেটের মানচিত্রেই বড় একটা ওলট-পালট হয়ে যায় ১৯৯৬ সালে। ক্রিকেট বিশ্বকে বিস্ময়ে ডুবিয়ে অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা ভাসে বিশ্বজয়ের উৎসবে। বিশ্বকাপের ওই ষষ্ঠ আসরে প্রথমবারের মতো তিন দেশে বসে বিশ্বসেরার আসর। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও ছিল অন্যতম আয়োজক।

মাঝেমধ্যে অঘটনের জন্ম দেওয়া, কখনও লড়াই করা, আর বেশিরভাগ সময় পড়ে থাকা তলানিতে, বিশ্ব ক্রিকেটে এই ছিল শ্রীলঙ্কার পরিচয়। কিন্তু একটি টুর্নামেন্ট পাল্টে দেয় চিত্র। আর শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়াই নয়, লঙ্কানদের আগ্রাসী ও বিনোদনদায়ী ক্রিকেট রাঙিয়েছিল বিশ্বকাপ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ঘরানায় যোগ করেছিল নতুন মাত্রা।

তবে যাইহোক, টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, গত চার বছর ধরেই আমরা ভালো করছি। এই বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো চাই। কারণ শুরুটা ভালো হলে আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে যায়। বড় আসরে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হলে নির্ভর করা যাবে আমরা কতদূর যেতে পারবো। প্রথম ম্যাচেই আমাদের প্রতিপক্ষ কিন্তু ফাফ ডু প্লেসিসের দল। সুতরাং এই ব্যাপারে আমরা বেশ সতর্ক।

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি