ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সন্দ্বীপের যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম সংবর্ধিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২২, ৬ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ২০:৩৯, ৬ মার্চ ২০২১

সন্দ্বীপের যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনোনীত হওয়ায়  সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (৬ মার্চ) সকালে কবি আব্দুল হাকিম অডিটোরিয়ামে সন্দ্বীপ উপজেলা সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের পক্ষ থেকে এই  সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহজাহান বিএ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা চৌধুরী জেসি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার অর্থ সম্পাদক আফতাব খান অমি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আলাউদ্দিন বেদন, মগধরা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন লিটন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে আবু হেলাল চৌধুরী,  মাজহারুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ভেন্ডর। 

সংবর্ধনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে তৃণমুল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে যারা দলের নাম ভাঙিয়ে লুটপাট করছে তাদের ক্ষমা করা হবে না। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা যাতে মূল্যায়ন পাই, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন লুটপাট করতে চাই প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন।' 

               বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের সংবর্ধনায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি 

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের সম্পর্কে বক্তারা বলেন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা আন্দোলনের প্রচারে সন্দ্বীপ আসেন। এ সময় সন্দ্বীপে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি তরুণদের মুক্তিযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসেবে তাঁর নেতৃত্বেই সন্দ্বীপ থানা আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সন্দ্বীপে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৭৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪ সালে জেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। হরিশপুর ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২২ বছর সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন রফিকুল ইসলাম। সন্দ্বীপ পৌরসভায় প্রথম প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি