ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সাকিবের দৃষ্টিতে যে কারণে জয় পেল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৩, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৩৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৩৬ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজকে। তিন ম্যাচের সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হতাশাজনক পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্য কারণ আসলে কি? অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার কারণ হিসেবে কি দেখছেন?

এদিন দলের পক্ষে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই তামিম ইকবাল ফিরে গেলেও মারমুখী ছন্দে ব্যাট চালিয়ে ফিফটি তুলে নেন লিটন দাস। ব্যক্তিগত ৬০ রান করে লিটন আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক সাকিব আর সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। এই দু`জন ৫ম উইকেটে করেন ৯১ রান। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যায়।

লিটনের ফিফটি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২১১/৪ রানের স্কোর গড়ে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ দল। তবে ২১১ রান করেও স্বস্তিতে ছিলেন না অধিনায়ক সাকিব। কেননা টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানরা দলটি কতটা শক্তিশালী তিনি ভালো করেই জানেন। তবে দারুণ এই কাঙ্খিত জয়ের পর ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব না দিয়ে পারলেন না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘বোলারদের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করাটা কঠিন ছিলো। অনেক শিশির ছিলো। তবে যেহেতু ভাল একটি রান ছিলো। বোলাররা ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বল করতে পেরেছে। আমাদের ব্যাটিংটা খুবই ভালো শুরু করেছে। লিটন, সৌম্য ওটা টেনে নিয়ে গিয়েছি। এরপরে আমার ও রিয়াদ ভাইয়ের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ ওই সময় যদি আমরা উইকেট হারাতাম তাহলে হয়তো এত বড় রান হতো না। বাড়তি ২০-৩০টা রানের শক্তিটা পেতাম না। সেদিক থেকে বলবো ব্যাটিংই আজকে আমাদের আসল কাজটা করে দিয়েছে।’

এরপরেই সাকিবের সংযোজন, ‘ওদের ব্যাটিং লাইনআপটা অনেক বড়। সবাই বড় শট খেলতে পারে। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত ওদের ব্যাটিং অর্ডার শেষ হচ্ছিলো স্বাভাবিকভাবে চিন্তা তো একটু ছিলোই। ওদের ব্যাটিং অর্ডার পুরো ৯ পর্যন্ত। তাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেতার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটিই ছিলো বলতে হবে।’

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি